পুরী: জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে টান পড়তেই, ব্যারিকেডের মধ্যে ১০০-রও বেশি লোকজন ঢুকে পড়ে। এর জেরেই রথ থামিয়ে দেওয়া হয়। রীতি মেনে শুধু কয়েক ইঞ্চি এগোয় জগন্নাথের রথ।
রথযাত্রা। এই দিনটির অপেক্ষায় সারা বছর থাকেন ভক্তরা। এই দিনে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তবে এবার পুরীর রথযাত্রায় ঘটল অশুভ কাণ্ড। এগোতেই পারল না জগন্নাথের রথের চাকা। মন্দির চত্বরেই সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকল জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ। বলরাম, সুভদ্রার রথ কিছুটা গেলেও মূল মন্দির থেকেই বেরোতে পারেনি নন্দীঘোষ। এত কম দূরত্ব আগে কখনও যায়নি জগন্নাথের রথ। আজ সেই রথযাত্রা হবে।
গতকাল মাসির বাড়ি পৌঁছতে না পারায়, আজ গুণ্ডিচার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিন ভাইবোন। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রথযাত্রা শুরু হবে। আজও পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে মন্দির চত্বরে। রাস্তার দুই পাশে থিকথিকে ভিড়। তবে গতকাল রথযাত্রা সম্পূর্ণ করতে না পারায় ক্ষুব্ধ জগন্নাথের সেবাইতরা। তারা প্রশাসনকেই দুষেছেন। অভিযোগ তুলেছেন অব্যবস্থার।
সূত্রের খবর, জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে টান পড়তেই, ব্যারিকেডের মধ্যে ১০০-রও বেশি লোকজন ঢুকে পড়ে। এর জেরেই রথ থামিয়ে দেওয়া হয়। রীতি মেনে শুধু কয়েক ইঞ্চি এগোয় জগন্নাথের রথ। এর আগে এত কম দূরত্ব কখনও যায়নি নন্দীঘোষ রথ।
মন্দির কর্তৃপক্ষ গতকাল জানিয়েছিল, অত্যাধিক ভিড়ের কারণে রথ এগোতে পারছিল না। সন্ধে সাড়ে সাতটা বেজে যাওয়ায় রথযাত্রা স্থগিত করে দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যাস্তের পর রথ এগোয় না। শুক্রবার বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে সূর্যাস্ত হলেও, তবু বলরাম ও সুভদ্রার রথ কিছুটা এগোনো হয়। তবে কিছুতেই এগোতে পারেনি জগন্নাথের রথ। এই ঘটনাকে অনেক ভক্তরা অশনী সঙ্কেত বলেই মনে করছেন।
You must be logged in to post a comment.
https://slotbet.online/