৩০শে জুন ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ বা মহান সঁওতাল ‘হুল’ দিবস। আজ থেকে প্রায় ১৬৮ বছর আগে আদবাসী সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব এই চার ভাইয়ের নেতৃত্বে সাঁওতালসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।ভারত উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশের আদিবাসী হিসেবে যাদের আখ্যায়িত করা হয তাদের মধ্যে সাঁওতাল সম্প্রদায় হল সবচাইতে সরল জীবন-যাপনকারী অল্পেই সন্তুষ্ট একটি জাতী গোষ্ঠী। অত্যন্ত নিরীহ, শান্তপ্রিয় আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সাদামাটা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর যোগসাজশে স্থানীয় জমিদার, জোতদার এবং মহাজনরা প্রচণ্ডভাবে ব্যাহত করেছিল। সাঁওতালদের ওপর ক্রমাগত শোষণ, বঞ্চনা, নির্যাতন, দাসত্ব আর নারীর অবমাননা যখন সহ্যের সীমাকে অতিক্রম করেছিল, তখনই শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা ঐক্যে পৌঁছেছিল। গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন। এই বিদ্রোহে প্রতিবাদী সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল প্রাণ দেয়।
সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘটিত প্রতিবাদ । ভারতের কৃষক বিদ্রোহের ইতিহাসের এ এক অতুলনীয় অধ্যায়। যে প্রকার শাসন,শোষণ ও উৎপীড়ন থেকে পরাধীন জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের সৃষ্টি হয় ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ সে ধরনের শোষণ অত্যাচারেরই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি।
১৮৫৫-৫৭ সাল পর্যন্ত এ বিদ্রোহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিহার, উড়িষ্যা এবং বাংলাদেশ পর্যন্ত প্রসার লাভ করেছিল। সাঁওতাল বিদ্রোহের তীব্রতা ও ভয়াবহতায় ইংরেজ শাসনের ভিত কেঁপে উঠেছিল। লর্ড ডালহৌসী কতৃক মার্শাল ল’ জারি করেও এ বিদ্রোহ দমানো সম্ভব হয় নি।
সান্তাল হুলের ইতিহাস হতে জানা যায দামিন-ই কোহ ছিল সাঁওতালদের নিজস্ব গ্রাম, নিজস্ব দেশ। ১৮৫২ সালে লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের ফলে তাদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল। ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের শিকার হয়ে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে। এটি ছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র গণসংগ্রাম।
সাঁওতাল বিদ্রোহে যে সকল কারণগুলো মূখ্য ভুমিকা হিসেবে গণ্য করা হয সেগুলো হলোঃ-
১। ভুমির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণে সাঁওতালরা বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে যে জমি ফসল উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, সে জমি সমতল ভূমিতে বসবাসকারী জমিদার-জোতদার-তালুকদাররা জোরপূর্বক দখল করে এবং সাওতালদেরকে ঐ জমিতে ক্রীতদাস হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করে;
২। বৃটিশরাজ কর্তৃক মুদ্রা ব্যবস্থা প্রচলনের সুযোগ ব্যাপারী-মহাজনরা নিরক্ষর-অজ্ঞ ও সহজ-সরল সাঁওতালদের ছল-চাতুরির মাধ্যমে প্রতারিত করে।
৩। সাঁওতালদের অঞ্চলে ব্যবসা করতে গিয়ে ব্যাপারী ও সুদখোর মহাজনদের অতি লোভ ও লুন্ঠনের প্রবৃত্তির ফলে জোরজবর দখল করে সাঁওতালদের সম্পদ ও উৎপাদিত আত্মসাৎ করা।
৪। ঋণদাযগ্রস্ত সাঁওতালদের ব্যক্তিগত বংশগত ক্রীতদাসত্বের মতো বর্বর প্রথা প্রচলনের মাধ্যমে তাদের আজীবন পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা।
৫। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশের সীমাহীন অত্যাচার, দূর্নীতি, উৎপীডন এবং জমিদার-জোতদার-ব্যাপারী-মহাজনদের দুষ্কর্ম ও অত্যাচারে সহাযতা দান।
৬। সরকারি বিচার-ব্যবস্থা কিংবা আদালতে সুবিধা না পাওয়া। এরকম বিভিন্ন কারণে সাঁওতালিদের মনে ক্ষোভ জমতে থাকে, তারা প্রতিবাদী হতে থাকে।
অসম যুদ্ধের ফল স্বরূপ, এ বিদ্রোহে সাঁওতালদের পরাজয় ঘটলেও, বৈদেশিক শাসন এবং দেশিও সামন্ত্রতান্ত্রিক শোষণের মূলৎপাটন করার লক্ষ্যে পরিচালিত এ বিদ্রোহ ভারতবর্ষের মানুষের মনে যে সম্রাজ্যবাদবিরোধী আত্মনিয়ন্ত্রাধিকারের চেতনা জাগ্রত করেছিল,সে চেতনার আলোতেই উদিত হয়েছে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। অথচ সাঁওতাল বিদ্রোহীদের আত্মত্যাগ আজও আসে নি পাদপ্রদীপের আলোয়।
নিষাদ জাতির অন্তর্ভুক্ত সাঁওতালদের আদি বাসভূমি যে ভারতবর্ষ তাতে নৃবিজ্ঞানীরা কোনো সন্দেহ পোষণ করেননি। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ,বাঁকুড়া, পাকুর, পূর্ণিয়া অঞ্চলে অবস্থান করলেও,সবচেয়ে বেশি সাঁওতাল বসতি স্থাপন করে ভাগলপুরের দামিন- ই-কো তে। বহু কষ্ট করে বন জঙ্গল সাফ করে শ্বাপদ-সংকুল দামিন-ই-কো তে তারা তাদের জনপদ গড়ে তুলেছিল। অতীতে যে মাটিতে মানব বিচরণই ছিল না সে মাটিতে ফলিয়েছিল সোনালী ফসল। নিজেদের আলাদা একটা জগত তৈরি করেছিল তারা। যেখানে ছিল না কোনো মহাজন-জমিদার-দালাল ছিল না কোনো ঋণগ্রস্থ।
দামিন-ই-কো এর সমৃদ্ধির খবর ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে সেখানে আগমন ঘটে ব্যবসায়ী ও মহাজন শ্রেণির। তারা ব্যবসার নামে বিনিময়ের সময় সহজ সরল সাঁওতালদের চরম ভাবে ঠকানো শুরু করল। কিছু চাল,কিছু অর্থ বা অন্য দ্রব্য ঋণ দিয়ে সমস্ত জীবনের জন্য “সাঁওতালদের ভাগ্যবিধাতা ও দন্ডমুন্ডের কর্তা” হয়ে বসল মহাজনরা।
ফলে পাথুরে জমিতে সাঁওতালদের অশেষ পরিশ্রমে ফলানো ফসল,যা তারা প্রাণ দিয়ে রক্ষা করতো,বন্য হাতি,শুকর ও অন্যান্য জীবজন্তুর হাত থেকে,তাই পরম মমতায় তুলে দিত মহাজনের হাতে। তবু শোধ হতো না ঋণ। কোন চাষী মহাজনের হাতে ফসল তুলে দিতে অস্বীকার করলে, মহাজনেরা দেওঘর বা ভাগলপুর আদালত এ ঘুষ দিয়ে আনত ক্রোকি পরোয়ানা। আদালতের পেয়াদার উপস্থিতিতে তখন নিজের সর্বনাশ দেখা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকতোও না সাঁওতালদের।
ঋণ দেয়ার সময় মহাজনরা যত টাকা ধার দিত, লিখিয়ে নিত তা থেকে অনেক বেশি এবং টাকা শোধের সময় ওই সুদ সমেত আসল টাকাকে আসল ধরে,আবার তার সুদ আদায় করতো। ফলে সব দিয়ে দেবার পরও শোধ হতো না মহাজনের ঋণ। তখন সাঁওতাল চাষি বাধ্য হতো নিজেকে বন্ধক দিতে এবং মহাজনের ক্রীতদাসে পরিণত হতে। বিনা পারিশ্রমিকে খাটতে খাটতে তার জীবন শেষ হয়ে যেত। তার পরবর্তী বংশধরের জন্য উত্তরাধিকার হিসাবে একটা জিনিসই সে রেখে যেতে পারত,তা হল মহাজনের ঋণ। এর সঙ্গে যুক্ত হল ইংরেজদের খাজনা আর জমিদারদের অত্যাচার,সাঁওতালদের চাষকৃত জমির উপরে ইংরেজদের নির্ধারিত খজনা চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে অবিশ্বাস্যভাবে। ১৮৩৮ সালে সেখানে মোট খাজনা ছিল ২০০০ টাকা, সেখানে ১৮৫১ সালে আদায় করা হয় ৪৩,৯১৮ টাকা ১৩ আনা। এর সাথে সাথে যোগ হয়েছিলো স্থানীয় জমিদারদের লোলুপ দৃষ্টি,সাঁওতালদের জমি গ্রাস করার অন্যতম পন্থা ছিল খাজনা বাকি ফেলা।এই উদ্দেশ্যে তারা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ, টাট্টু ঘোড়া এমনকি হাতির বাঁধন খুলে দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে দরিদ্র সাঁওতালদের ক্ষেতের পাকা ফসল নষ্ট করে ফেলত।
এই অমানবিকতার কোন প্রতিকার সাঁওতালদের হাতে ছিল না। ইংরেজদের বিচারালয় তাদের নাগালের বাইরে ছিল। তাছাড়া দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাবার কোন নিশ্চয়তা ছিল না।
ঐতিহাসিক কে কে দত্ত তার “দি সান্তাল ইন্সারেকশান” গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে বলেন-
“দুর্নীতিগ্রস্থ কোর্টের আমলা, মোক্তার, পিওন ও বরকন্দাজদের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়ার কোন সম্ভাবনা ছিল না। যদিও মাঝে মাঝে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে ন্যায়বিচারের দেখা মিলত,কিন্তু ভয়ে সাঁওতালরা সেখান থেকে দূরেই থাকতো। বাড়ির কাছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনস্ত দারোগা বা থানা পুলিশের ন্যায় বিচারের যে রূপ তারা দেখতে পেত তা মৃত্যুরই নামান্তর”।
কাজেই আদালতে সুবিচার লাভ সাঁওতালদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। নিপীড়ন নিষ্পেষণের জালে আটকে যাওয়া এই সহজ সরল মানুষ গুলোর আদতে মুক্তির কোন পথ খোলা ছিল না। ফলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা স্বরূপ তারা বিদ্রোহে অংশ নেয়।
১৮৫৪ সালের শেষে আর ১৮৫৫ সালের শুরুতে সাঁওতালরা একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিল যে তারা হিন্দু মহাজনদের আর লাভের বখরা নিতে দেবে না। গরীব দিনমজুর সাঁওতালরা ঠিক করেছিল তারা আর ক্রীতদাসত্ব করবে না।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন,ভাগনদিহি গ্রামে চারশত গ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে বিপুল পরিমানে সাঁওতাল এক সমাবেশে উপস্থিত হয়। ইংরেজ ও জমিদার শ্রেণিকে উৎখাত করে স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠার শপথ নেয় এ সমাবেশ। এই সমাবেশ থেকেই ইংরেজ সরকার,কমিশনার,দারোগা,ম্যাজিস্ট্রেট ও জমিদার নিকট চরমপত্র প্রেরণ করা হয়। দারোগা ও জমিদারদের নিকট ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দাবি করা হয়।
একপর্যায়ে প্রায় ৫০ হাজার সাঁওতালের এক বিশাল মিছিল বড়লাটের কাছে অভাব অভিযোগ পেশ করার উদ্দেশ্যে কোলকাতা অভিমুখে যাত্রা করে। এ অভিযানে সাঁওতালদের সঙ্গে যোগ দেয় অন্যান্য ধর্মের শোষিত,নিপীড়িত মেহনতি মানুষ।
সাঁওতালদের এ সমবেত অভিযাত্রার কথা শুনে শোষক শ্রেণির মহাজন জমিদাররা ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ সাঁওতালরা বহু থানা,ইংরেজ সৈন্যদের ঘাটি, নীলকরদের কুঠি আক্রমণ ও ভস্মীভূত করে। সমগ্র বিহার,মুর্শিদাবাদ,বীরভূম জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সাঁওতালদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ইংরেজ সরকার এ আকস্মিক বিদ্রোহের প্রচন্ডতায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে।
অবশেষে মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে ১৫ হাজার সৈন্য,অশ্বারোহী বাহিনী,কামান বাহিনী ও হস্তী বাহিনী দ্বারা বিদ্রোহ দমনের অভিযান চালান হয়। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। প্রচন্ড বর্বরতায় উন্মত্ত হাতি ছেড়ে দেয়া হয় সাঁওতালি নারী ও শিশুদের মধ্যে। কামান ও বন্দুকের সামনে টিকতে না পেরে, বিদ্রোহীরা গভীর জঙ্গলে পলায়ন করতে বাধ্য হয়।
৩০ হাজার সাঁওতাল বিদ্রোহীকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করে ইংরেজ মিলিত বাহিনী। ভাগলপুরে এক ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধে বিদ্রোহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়ক চাঁদ ও ভৈরব নিহত হয়। ১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইংরেজ বাহিনী সিদুকে ধরে ফেলে, সঙ্গে সঙ্গেই হত্যা করে। কানু বীরভূম জেলায় একদল পুলিশ কর্তৃক ধৃত হলে তাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়। পরাধীন শৃঙ্খলিত ভারতবর্ষের সাঁওতাল বিদ্রোহের শ্রেষ্ঠ নায়ক সিদু, কানু এভাবেই স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে গেছে।
সাঁওতাল বিদ্রোহ নিপিড়ীত মুক্তিকামী মানুষের চিরদিনের প্রেরণার উৎস। এ সংগ্রামে পরাজয় ছিল,কিন্তু আপোষ ছিল না।বিদ্রোহীরা নির্ভয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে,কিন্তু আত্মসমর্পন করেনি।
এ বিদ্রোহীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কাহিনী প্রেরণা যুগিয়েছে ভারতবর্ষের পরবর্তী সকল স্বাধীকার আন্দোলনে। ফাঁসির মঞ্চে কানুর দৃপ্ত উচ্চারণ ছিল “আমি আবার ফিরে আসব,সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব”,বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে ক্ষুদিরাম,মাস্টারদা সূর্যসেনদের আত্মত্যাগে।
সাঁওতাল বিদ্রোহ আমাদের প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছে, শোষণ মুক্তির সংগ্রাম কোনদিন ফুরায় না,শেষ হয়ে যায় না।মানুষ পৃথিবীতে যতদিন থাকবে শোষণ মুক্তির সংগ্রাম চলবে ততদিন।
অধিপতিশীল জ্ঞানকাঠামোয় সিদু কানুদের আত্মত্যাগের ইতিহাস সেভাবে উচ্চারিত হয় না,তাতে কি আসে যায়,জীবন যেখানে দ্রোহের প্রতিশব্দ,মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়। সাঁওতাল বিদ্রোহের বীর শহীদদের জানাই প্রনাম।
**”সংগৃহীত**”
https://slotbet.online/