🔍 হিন্দু ধর্মের মূল দর্শন কি মূর্তিপূজা অনুমোদন করে?
✅ বেদ ও উপনিষদে কী আছে?
বেদ ও উপনিষদ মূলত নিরাকার ঈশ্বরের কথা বলে।
এখানে সরাসরি মূর্তিপূজার প্রতি উৎসাহ নেই, বরং অনেক ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
🕉️ উদাহরণ:
ঋগ্বেদ ৮.১.১:
“একম্ শত-বাহুভিরা বদধ্যৈঃ।”
(একই ঈশ্বরের বিভিন্ন নামে আরূপভাবে স্মরণ কর।)
যজুর্বেদ ৩২.৩:
“ন তস্য প্রতিমা অস্থিতি।”
অর্থ:
“ঈশ্বরের কোনো মূর্তি নেই, কোনো প্রতিমা নেই।”
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ৪.১৯:
“ন তস্য প্রতিমা অস্থিতি।”
(তার কোনো প্রতিমা বা আকৃতি নেই।)
🗿 তাহলে হিন্দুরা মূর্তিপূজা কেন করে?
এর উত্তর দু’ভাবে দেওয়া যায়—
১️⃣ দার্শনিক দিক থেকে:
বেদান্ত ও উপনিষদের মতে ঈশ্বর নিরাকার।
কিন্তু পরবর্তীকালে পুরাণ ও তন্ত্রে মূর্তির মাধ্যমে ঈশ্বরকে কল্পনা করার রীতি আসে।
ভক্তি যুগে সাধারণ মানুষের জন্য “প্রতীক পূজা” সহজভাবে ঈশ্বরচিন্তার মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়।
২️⃣ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে:
হিন্দুধর্মের মধ্যে বহুমাত্রিকতা আছে। কেউ নিরাকার ঈশ্বর মানে, কেউ সাকার।
সাধারণ মানুষের জন্য মূর্তি হলো ঈশ্বরের রূপকে সহজে বোঝার উপায়।
📖 পুরাণ ও স্মৃতি গ্রন্থে কী বলা হয়েছে?
পুরাণ (যেমন বিষ্ণুপুরাণ, শিবপুরাণ)—মূর্তিপূজাকে গ্রহণযোগ্য করেছে।
এতে বলা হয়েছে—”সাকার মূর্তি ঈশ্বরের এক প্রকাশ।”
🔍 তাহলে আসল সত্য কী?
গ্রন্থকী বলা হয়েছেবেদ ও উপনিষদঈশ্বর নিরাকার। “ন তস্য প্রতিমা অস্থিতি” (ঈশ্বরের মূর্তি নেই)পুরাণ ও তন্ত্রসাধারণ মানুষের জন্য মূর্তির মাধ্যমে ঈশ্বর ভাবনার অনুমোদন
✍️ সংক্ষেপে:
হিন্দুধর্মের মূল গ্রন্থে (বেদ-উपनিষদ) নিরাকার ঈশ্বরের কথা বলা হয়েছে।
পরবর্তীতে পুরাণ ও লোকাচারে মূর্তিপূজা চালু হয়।
তাই হিন্দু ধর্মের মধ্যে একইসাথে নিরাকার ও সাকার দুই ধারা আছে।
🧘♂️ এটা মূলত দ্বৈত দর্শন vs অদ্বৈত দর্শনের পার্থক্য।
https://slotbet.online/