“স্বার্থশাস্ত্র”
সাধারণ বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়
Written By -রাখাল চ্যান্সেলর-+8801623287154-নুর নবী মাহমুদ
উপস্থাপনা —
ধনী- মানি,ধার্মিক,প্রভাবশালী এবং জ্ঞানীজনের দোয়া ও আশীর্বাদ নিয়ে ক্রিয়াশীলতা শুরু করছি-
প্রথম অধ্যায়: সাধারণ আলোচনা
অতীত নিয়ে গবেষণা করা ঐতিহাসিকগণের কাজ আর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা জ্ঞনীজনের কর্তব্য। বৃহত্তর সাধারণ জনগণের মধ্য হতে একজন সামান্য ব্যক্তি হিসেবে আমি বর্তমানের বাস্তব জীবনদর্শনে দৃষ্টি রাখতে চাই। বাস্তব জীবনধারণের চিরন্তন সংবিধান হলো সত্য ও ন্যায়ের উপলব্ধি। বর্তমানে এই উপলব্ধির দুটি ধরন দেখতে পাওয়া যায় যথা এক. সাধারণ সত্য ও ন্যায়, যা সকল ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য হতে পারে,যেমন – সূর্য পূর্ব দিকে উদয় হয়, ক্ষুধার্ত কে অন্ন দাও ইত্যাদি। দুই. বিশেষ সত্য ও ন্যায়, যা সম্প্রদায়বিশেষ বা ব্যক্তিবিশেষ এর জন্য প্রযোজ্য হয়,যেমন- একই তৃষ্ণা মেটাতে কেউ পানি,কেউ জল আবার কেউ ওয়াটার পান করে তৃপ্ত হয়। স্থান -কাল-পাত্রের তারতম্য হেতু এটা হতেই পারে। তবে এখানে কেবল বাস্তবজীবনের সাধারণ সত্য ও ন্যায়ের সন্ধান চাওয়া হচ্ছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়: ব্যক্তিই একক
অখণ্ড মানবসত্তার একক হলো ব্যক্তি। এই হিসাবে একজন ব্যক্তি মাতৃরজ ও পিতৃবীর্যের সম্মিলনে মাটির বুকে পা রেখেছে তারপর বাস্তব জীবনধারণে তার কি কি প্রয়োজন, সেসব প্রয়োজন পূরণে ব্যক্তি কিভাবে সাড়া দিচ্ছে, কি কি করছে — এ সকল বিবেচনায় গড়ে ওঠে ব্যক্তির পরিচয় ও ব্যক্তিত্ব। সাধারণ সত্য ও ন্যায় ভিত্তিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তির অভাব ই আজকের বাস্তবজীবনের সার্বিক সমস্যার মূল কারণ। কাজেই, সত্য ও ন্যায় ভিত্তিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিই সমাজের বা রষ্ট্রের প্রধানতম দামি সম্পদ।
তৃতীয় অধ্যায়: ব্যক্তির ধারাবৈচিত্র্য
শারীরিক বৈচিত্রতার অনিবার্য বাস্তবতায় সমাজজীবনে ব্যক্তি সাধারণত তিন ধারায় বর্তমান যথা নারী, পুরুষ ও হিজড়া ব্যক্তি। এছাড়াও এক ধারার ব্যক্তি আছে যাদেরকে আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বলি যেমন – জন্মগত বা দূর্ঘটনাবশত কারো হাত নেই, পা নেই ইত্যাদি। তাই জন্মগতভাবে লিঙ্গের ত্রুটির কারণে কোনো ব্যক্তিকে হিজড়া না বলে তাকে লিঙ্গ-প্রতিবন্ধী বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বলা যেতে পারে। অতএব, বীর্যবান পুরুষ ও রজবতী নারী হলো অখণ্ড মানবসভ্যতায় চব্বিশ ঘণ্টার একদিন তথা সূর্যকেন্দ্রস্বরূপ।
চতুর্থ অধ্যায়: ব্যক্তির মৌলিক প্রয়োজন
বাস্তবে জীবনধারণের জন্য ব্যক্তির যে প্রয়োজনকে কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না তাই হলো ব্যক্তির মৌলিক প্রয়োজন। যেমন – এক. বিশুদ্ধ খাদ্যবস্তু দুই. ঘুম বা বিশ্রাম তিন. প্রেকা (এখানে প্রেকা বলতে প্রেম যুক্ত কামের অন্তর্ভুক্ত যাবতীয় কার্যকে বোঝানো হচ্ছে )। অর্থাৎ খাদ্য, ঘুম ও প্রেকা এই তিনটি হলো ব্যক্তির মূল প্রয়োজন একইসঙ্গে আদর- স্নেহ পূর্ণ শৈশব এবং অসুস্থ ও বৃদ্ধকালীন আন্তরিক সেবা-যত্ন সহ অবশিষ্ট সকল প্রয়োজন হলো ব্যক্তির ঐ তিনটি মূল প্রয়োজনের সাথে যুক্ত বা যৌগিক প্রয়োজন। কথায় আছে, প্রয়োজন আইন মানে না। সুতরাং প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের জন্য সাধারণ সত্য ও ন্যায় ভিত্তিক এই মৌলিক প্রয়োজন পূরণের জন্মগত অধিকার রাখে।
পঞ্চম অধ্যায়: ব্যক্তিত্ব গঠন
রজোবীর্যে নির্মীত ব্যক্তির পক্ষে একা একা বাস্তবজীবনের প্রয়োজন পূরণ করা সম্ভব হয় না, সেজন্য তাকে কিছু সম্পর্কের ওপর নির্ভর করতে হয় যেমন – স্বামী – স্ত্রী, মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু -বান্ধবী ইত্যাদি। দূ:খজনক হলেও সত্যি যে, সম্পর্কের বন্ধনই দুর্নীতির মূল কারণ, যাইহোক বিদ্যমান সকল সম্পর্কের ভিত্তি হলো – প্রয়োজন ভিত্তিক স্বার্থ। ব্যক্তির তিনটি মূল প্রয়োজন ও অন্যান্য যুক্ত প্রয়োজনের স্বার্থেই সম্পর্কগুলো যুগ যুগ ধরে টিকে আছে। আর স্বার্থের প্রতি সাড়া দানের ধরনই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ধারণ করে দেয়। কেননা জীবন মানেই দেয়া – নেয়া।স্থান-কাল-পাত্রসীমা নির্বিশেষে এই দেয়া নেয়ার তারতম্যের ভিত্তিতে ব্যক্তির তিন ধরনের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে যথা এক. দানকারী বা উত্তম ব্যক্তিত্ব, অর্থাৎ যে ব্যক্তি অধিকতর দেয়ার কার্যকর ইচ্ছা রাখে দুই. ব্যাপারী বা মধ্যম ব্যক্তিত্ব, মানে যে ব্যক্তি দেয়া নেয়ার ভারসাম্য রক্ষা করে চলে তিন. ভিখারী বা তুচ্ছ ব্যক্তিত্ব, এটাহলো যে ব্যক্তি অধিকতর নেয়ার মানসিকতা নিয়ে জীবন ধারণ করে। ব্যক্তির প্রয়োজন ভিত্তিক স্বার্থ কিভাবে হাসিল হবে সেইটা তার ব্যক্তিত্বের ধরনের ওপর নির্ভর করে।কাজেই সমাজকল্যাণের স্বার্থে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে মনোনিবেশ করা সমস্ত প্রয়োজনের প্রথম প্রয়োজন।কারণ ব্যক্তিত্বহীন ব্যক্তি গৃহপালিত পশুর সমান। আবার, মূর্খব্যক্তি পয়সা উপার্জন করে প্রতিষ্ঠা চায় আর জ্ঞানীব্যক্তি প্রতিষ্ঠা চায় গৌরব অর্জন করে। ওহে ব্যক্তি, তুমি নিজের জন্য কোন ধরনের ব্যক্তিত্ব চাও?
ষষ্ঠ অধ্যায়: স্বার্থশাস্ত্র
সবার আগে এটি মনে রাখতে হবে যে, যা কিছু দেখছি কোনটাই আমার না।নিজের ব্যক্তিত্ব,স্বভাব-চরিত্র ও কর্মের সহিত আমি পৃথিবীতে কিছু সময়ের অতিথিমাত্র। তবে এ পৃথিবীতে এসে স্থান -কাল-পাত্রভেদে প্রতিনিয়তই অনেক কিছু নিচ্ছি, প্রতিদানে কিছু না কিছুতো দেয়ার ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকা আবশ্যক। কেননা আমি কোন ভিখারী বা তুচ্ছ ব্যক্তিত্ব নিয়ে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চাই কী?
মুরুব্বীজনের ভাষায় – পৃথিবীর আরেক নাম দুনিয়া আর দুনিয়া হলো দু বা দুটি বিষয় নিয়া অর্থাৎ দুটি বিষয় নিয়ে বাস্তব দুনিয়ার জীবন চলমান আছে। প্রথম বিষয়. ইনকাম সোর্স, অর্থাৎ পয়সা উপার্জনের উপায় স্থির করা বা সৃষ্টি করা দ্বিতীয় বিষয়. প্রেকা সোর্স, এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে প্রয়োজন “প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা”। অর্থাৎ খাদ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে মুখে আহার হিসেবে গ্রহণ করা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে খাদ্যবস্তটির জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশের নিশ্চয়তা বিধান করা অনিবার্য। অন্যদিকে বিদ্যমান রাসায়নিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা কে ধাপে ধাপে নির্বাসনে পাঠানো জরুরী। যদিও এটা বড়ই কঠিন ব্যাপার তবে অসম্ভব নয়। সবাই চাইলে কি না হতে পারে। প্রশ্ন হলো, আমি এটা চাই কি না? এছাড়াও জন্মরহস্য অনুধাবন করা, স্বভাবে ধৈর্য্যশীল হওয়া এবং শিক্ষাগুরুর প্রতি ভক্তি সেবাকে অপরিহার্য জ্ঞান করা জরুরী। তবেই হতাশামুক্ত মধুময় জীবনের স্বাদ আস্বাদন করা সম্ভব। কথায় আছে, বাইরে আছে বারো আর ঘরে আছে তেরো। কোনটির মান বেশি?
সপ্তম অধ্যায়: জীবন রুটিন
শোনা যায়, নিজের ভালো পাগলেও বোঝে। অতএব বিদ্যমান বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষা অর্জন শেষে আমার মতো প্রত্যেক সাধারণ ব্যক্তির তার নিজের জন্য দৈনিক আটঘণ্টা ইনকাম সোর্সে সময় দেয়া, ছয় থেকে আট ঘণ্টার জন্য ঘুম বা বিশ্রামের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং অবশিষ্ট সময়ে প্রেকা সোর্স উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজের জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধান সহ সৎ মস্তিষ্ক ও সুস্থ শরীর চর্চায় মনোযোগ রাখাটা খুবই দরকার। তবেই ব্যক্তির নিজের কল্যাণ হবে। কারণ যে নিজের ই দায়িত্ব নিতে জানে না, নিজের কল্যাণেরই নিশ্চয়তা টুকু নেই , সমাজ কল্যাণে সে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে? প্রত্যেকের প্রয়োজন ভিত্তিক স্বার্থ সার্থক হোক –এটুকুই চাওয়া।
পরিশেষে : নিজে কিছু করি
ব্যক্তিকে সম্মান করার অর্থ হলো তার প্রয়োজনের প্রতি সম্মান রাখা। অতএব সাধারণ সত্য ও ন্যায়ের আলোকে ব্যক্তির প্রয়োজন ভিত্তিক স্বার্থের প্রতি আন্তরিক সম্মান রেখে আসুন, প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে “স্বার্থশাস্ত্র”এর পাঠদান ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরননের লক্ষ্যে ‘সাধারণ বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করে নিজের এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস -চ্যান্সেলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। যাতে করে, সাধারণ সত্য ও ন্যায় ভিত্তিক জীবন- সংস্কৃতি গড়ে ওঠে ।
বাংলাদেশের নামকরণটা অনেকাংশেই আজ অবাস্তব। কেননা বাংলা + দেশ = বাংলাদেশ, এখানে বাংলা হলো ভাষা আর দেশ হলো স্হান বা অঞ্চল অর্থাৎ যে স্হানের বা অঞ্চলের মানুষেরা বাংলা ভাষায় কথা বলে সেই স্হলভাগটাই হলো ‘বাংলাদেশ’।
বর্তমানে এদেশে ভাষার মর্যাদা স্তর-
#শিক্ষিতসমাজ সমাদৃত ভাষা :- ইংরেজি।
#সংখ্যাগুরু ধর্মীয়সমাজ সমাদৃত ভাষা:- আরবি।
#আর প্রমিত ও চলিতভাবে ব্যবহারিক ভাষা:- বাংলা।
অতএব, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এদেশের প্রস্তাবিত নামকরণ হতে পারে ‘ইআবাদেশ’। এখানে ই তে ইংরেজি,আ তে আরবি, আর বা তে বাংলা।
মূল্যায়ন : কোন ভাষাকেই যেহেতু অবমাননা করা যায় না তাই সবাইকে সসম্মানে গ্রহণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে আর এখানেই ‘ইআবাদেশ’ নামকরণের সার্থকতা।
https://slotbet.online/