শ্রী কৃষ্ণ কর্তৃক কালীয় নাগ দমন
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাল্য লীলা কালে কালীয় নামক বিষধর নাগরাজকে দমন করেছিলেন। কালীয় নাগ ব্রজভূমের যমুনা নদীতে সপরিবারে বাস করতো। যমুনা নদীর তটে গবাদি পশু, পাখি উপস্থিত হলে কালীয়ের বিষাক্ত নিশ্বাসে অজ্ঞান হয়ে যেতো। শ্রীকৃষ্ণ একদিন খেলার ছলে ধেনুবৎস সহ রাখাল সখাদের সঙ্গে নিয়া যমুনা নদীর তটে উপস্থিত হলে কালীয় নাগ তাহার সহস্রফণা বিস্তার করে নদীর জলে ভেসে উঠলো এবং তার বিষাক্ত নিশ্বাসে ধেনুবৎস ও রাখাল বালকগণ সকলেই মাটিতে পড়ে গেল। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন যমুনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লো এবং এক লাফে কালীয় নাগের বিস্তারিত ফণার উপর উঠে নৃত্য করতে থাকেন। কালীয় নাগ তার মাথায় অত্যন্ত গুরুভার অনুভব করতে লাগলো এবং তাহার বিস্তারিত ফণাগুলি হতে রক্তক্ষরণ আরম্ভ হলো। নৃত্যের তালে তালে ও পদ সঞ্চালনের চাপে কালীয়ের ফনাগুলি একটি একটি করে খসে পড়তে লাগলো। যখন শুধু বৃহৎ ফনাটি অবশিষ্ট থাকে, তখন তার শ্বাসরুদ্ধ হবার উপক্রম হইলে সে নিজে এবং তাহার পরিবারবর্গ কালীয়ের প্রাণ ভিক্ষা চায় এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্তুুতি করতে লাগলেন। তখন কালীয় নাগ বললেন যে সে এই নদী ছেড়ে চলে যাবে সমুদ্রে। এই বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন কালীয় নাগের জীবন ভিক্ষা দেন। তখন কালীয় নাগ শ্রী কৃষ্ণকে প্রনাম জানিয়ে সমুদ্রে চলে যান।
❤️আমার আঁকাতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ❤️
https://slotbet.online/