শ্রীকৃষ্ণকে সত্যিই শ্রদ্ধা করতে চাইলে, বাড়িতে দেওয়ালে ওই যে “গীতার সারাংশ” বলে যেটা টাঙানো আছে, ঐটা ছিঁড়ে ফেলে দিন। শ্রীকৃষ্ণ কোনোদিন ঐটা বলেননি ।
গীতা বাড়িতে সাজিয়ে রেখে পুজো করে প্রসাদ খাবেন না, বইটা পড়ুন, বইটার দ্বিতীয় অধ্যায়ে ভদ্রলোক যা যা বলেছেন, পড়ুন ,বুঝুন, আত্মস্থ করুন। বিশেষ করে দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩৭ নম্বর শ্লোকটা, বুঝুন লোকটা কী বলে গিয়েছিল, আর আমরা কী করছি!
ভদ্রলোক কোনোদিন বলেননি, জড়ভরত হয়ে স্রেফ আমার পুজো করো, স্রেফ খোল কত্তাল নিয়ে বাবাগো মাগো বলে চিৎকার করো আর প্রসাদ খাও,বাকি সব আমি দেখে নেবো। স্রেফ কয়েকটা আচার পালন করো উপোস করে ফ্যালো, বাকি আমি দেখে নেবো।
বিবেকানন্দ ব্যঙ্গ করে একদা বলেছিলেন, আরে মশাই, কীর্তনের সময় যারা আহা উহু করে কাঁদে, তারা বেশিরভাগ নিজের বউয়ের সঙ্গে বিরহের কথা ভেবেই কাঁদে।
দিনরাত নিরামিষ খেলেই স্বর্গলাভ হলে আগে গরু শালিখ চড়াই স্বর্গে যেত।
ভগবান তোমাদের মতো আহাম্মক নন, যে এক টুকরো মাংস খেলে তার দয়ানদীতে চড়া পড়ে যাবে। (প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য)
উনি বলেছেন মহানন্দে যুদ্ধ করো, নিজের কর্তব্য পালন করো।
কর্তব্য পালন করাই ধর্ম, কর্তব্য বিচ্যুতিই অধর্ম, নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকাই অধর্ম। নিজের ভাগ্য নিজের হাতের মুষ্ঠিতে আর বুদ্ধিবৃত্তিতে, কয়েকটা রেখায় নয়।
অন্যায় সহ্য করাই অধর্ম, অন্যায় দমন করাই ধর্ম।
সেই কর্তব্য পালনের যুদ্ধে , সেই ধর্ম যুদ্ধে জয়ী হলে পৃথিবীর অনন্ত সম্পদ তোমার অপেক্ষায় , মরলে অক্ষয় স্বর্গবাস … তস্মাদুত্তিষ্ঠ কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়ঃ!
সেই যুদ্ধের সময় যে শান্তির ললিতবাণী শোনায়, যে দুর্বলতার কথা বলে, তার চেয়ে বড় পাপী আর কেউ নেই। হিন্দু হাজার হাজার বছর ধরে সেই পাপ করে আসছে, তার ফল সে ভুগছে।
বিবেকানন্দ অনেক পরে এইটারই ডেরিভেটিভ হিসেবে বলেছিলেন,
আত্মশক্তিতে যে বিশ্বাস করে, সেই আস্তিক। যে আত্মশক্তিতে বিশ্বাস করে না, সেই নাস্তিক।
যে ভদ্রলোক রাক্ষসীর বুক চিরে দিয়েছিলেন, যুদ্ধের সময় ছল বল কৌশল কোনকিছুই বাকি রাখেননি,
তাঁর নাম দিবারাত্র স্মরণ করা জাতি এইরকম ম্যাদামারা হয় কীভাবে, এত ন্যায় নীতির ভন্ডামি কীভাবে করে, রীতিমতো গবেষণার বস্তু!
#সংগৃহীত #গর্বকরেবলোআমিহিন্দু
https://slotbet.online/