এদিকে রাধিকার শুভ জন্ম-মহোৎসব উপলক্ষ্যে আমন্ত্রিত হয়ে স্ত্রী ও পুত্রসহ নন্দ মহারাজ,
বৃষভানু রাজার রাজপুরীতে এসে উপস্থিত হন। তাঁরা পরস্পরে আনন্দে কোলাকুলি করছিলেন, তখন এক ফাঁকে কৃষ্ণ অন্তঃপুরে রাধার পালঙ্কের কাছে এসে তাঁর চোখ খুলে কৃষ্ণের দিকে তাকালেন। এভাবেই উভয়ে উভয়কে দর্শন করে দিব্য আনন্দে নিমগ্ন হন। ইত্যবসরে বৃষভানু রাজা অন্তঃপুরে প্রবেশ করে দেখলেন, রাধিকা চোখ উন্মীলিত করে কৃষ্ণের দিকে তাকিয়ে আছে, তখন তিনি আনন্দের আতিশয্যে উভয়কে কোলে তুলে নিলেন এবং বুঝতে পারলেন যে, কৃষ্ণই রাধাকে চক্ষুদান করেছেন।
রাধার চক্ষু উন্মীলনের খবর পাওয়া মাত্রই সমগ্র ব্রজবাসীরা আনন্দে উৎফুল্ল হয়েছিলেন। আর রচিত হয়েছিল এই ধরণীর শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপাখ্যান যা আজও ভক্ত হৃদয়ে প্রেমভক্তি রসাস্বাদনে অমিয় শান্তি ও শাশ্বত আনন্দের ফল্গুধারার মতো প্রবাহিত হচ্ছে এবং যতদিন মানবের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন এই প্রেমভক্তি উন্নত থেকে উন্নততর হবে। পবিত্র প্রেমের প্রতিমূর্তি শ্রীরাধাকৃষ্ণের চরণকমলে সবার প্রেমময়, মঙ্গলময় ও কল্যাণময় জীবনের প্রার্থনা I সকলে রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে দুর্লভ মানব জীবনকে ধন্য করুন ও সকলে রাধারাণীর কৃপা লাভ করুন।
রাধিকা – চরণরেণু, ভূষণকরিয়াতনু,
অনায়াসে পাবে গিরিধারী।
রাধিকা – চরণাশ্রয়, যে করে সে মহাশয়,
তাঁ’রে মুঞি যাঁও বলিহারী।।
জয়জয় ‘রাধা’ নাম, বৃন্দাবন যাঁর ধাম,
কৃষ্ণসুখ – বিলাসের নিধি।
হেনরাধা – গুণগান, নাশুনিল মোর কান,
বঞ্চিত করিল মোরে বিধি।।
তাঁ’র ভক্ত – সঙ্গে সদা, রসলীলা প্রেমকথা,
যে করে সে পায় ঘনশ্যাম।
ইহাতে বিমুখ যেই, তা’র কভু সিদ্ধি নাই,
নাহি যেন শুনি তা’র নাম।।
কৃষ্ণনাম – গানে ভাই, রাধিকা – চরণ পাই,
রাধানাম – গানে কৃষ্ণচন্দ্র।
সংক্ষেপে কহিনু কথা, ঘুচাও মনের ব্যথা,
দুঃখময় অন্যকথা – দ্বন্দ্ব । . ( নরোত্তমদাসঠাকুর )
অত্যন্ত গুড় রহস্য কথা,সবাই বোঝার চেষ্টা করুন।
”অনারাধ্য রাধা – পদাম্ভোজ – রেণু – মনাশ্রিত্য বৃন্দাটবিং তৎপদাঙ্কাম ।
অসম্ভাষয় তদ্ভাব – গম্ভীরচিত্তান কুতঃ শ্যামসিন্ধু – রসস্যাবগাহঃ ।।”
—(শ্রীরঘুনাথ দাস গোস্বামী)
রাধিকাচরণ – পদ্ম সকল শ্রেয়ের সদ্ম,
যতনে যে নাহি আরাধিল।
রাধা – পদাঙ্কিত – ধাম, বৃন্দাবন জাঁ’র নাম,
তাহা যে না আশ্রয় করিল।।
রাধিকাভাব – গম্ভীর চিত্ত যেবা মহাধীর,
ভক্তগণ – সঙ্গ না কইল জীবনে।
কেমনে সে শ্যামানন্দ রসসিন্ধু – স্নানানন্দ,
লভিবে বুঝহ একমনে।।
রাধিকা উজ্জ্বল – রসের আচার্য্য।
রাধামাধব – শুদ্ধ প্রেম বিচার্য্য।।
যে ধরিল রাধাপদ পরম যতনে।
সে পাইল কৃষ্ণপদ অমূল্যরতনে।।
রাধাপদ বিনা কভু কৃষ্ণ নাহি মিলে।
রাধার দাসীর কৃষ্ণ, সর্ববেদে বলে।।
ছোড়ৎ ধন- জন, কলত্র – সুত – মিত, ছোড়ৎ করম – জ্ঞান।
রাধা পদপঙ্কজ, মধুরত – সেবন, ভকতিবিনোদ পরমাণ।।
🌷জয় শ্রীরাধে👏
https://slotbet.online/