মাগুরা প্রতিনিধিঃ
মাগুরা সদর থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুমি রানী বিশ্বাস (৪০), স্বামী-সুজিত কুমার বিশ্বাস, সাং-শিবরামপুর, থানা- মাগুরা সদর, জেলা-বমাগুরা আপনার থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। সবুজ বিশ্বাস (২৫) (মোবাইল-০১৫৬৮৫৭১১৫০), পিতা-কুমার বিশ্বাস, ২। কুমার বিশ্বাস (৫৫), পিতা-ম ৩। বিখিকা বিশ্বাস (৪৫), স্বামী-কুমার বিশ্বাস ৪। মৌরভ বিশ্বাস(২৩), পিতা-কুমার বিশ্বাস, সর্ব সাং-বাদনী, থানা-শৈলকূপা, জেলা-ঝিনাইদহ সহ অজ্ঞাতনামা ০১ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমার নাবালিকা কন্যা সূঃ বি (১৬) মাগুরা দুধ মল্লিক স্কুলে লেখাপড়া করিত। সে এই বছর এসএসসি পরীক্ষা দিবে। অনুমান ৩/৪ বছর পূর্ব হইতে ০১ নং বিবাদী আমার কন্যাকে স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া আমার সূচিকে উত্ত্যক্ত করিত এবং কু-প্রস্তাব দিত। আমার কন্যা আমাকে বিষয়টি জানাইলে আমি ০১ নং বিবাদীকে এহেন কার্যকলাপ করিতে নিষেধ করি এবং তাহার পিতা-মাতা ও ভাই (গার্ডিয়ান) হিসাবে ০২,০৩,০৪ নং বিবাদীকে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু তাহারা আমার কথায় কোন কর্ণপাত না করিয়া বরং ০১ নং বিবাদীকে আরো উসকানি দেয়। তাহাদের উসকানিতে ০১ নং বিবাদী অজ্ঞাতনামা ০২ জনকে সাথে নিয়ে প্রায় সময় আমার বাসার সামনে আসিয়া আমার কন্যাকে দেখিয়া নানান অঙ্গিভঙ্গি করা সহ অপহরন করার হুমকি দেয়। গত ইং-২৬/০৬/২০১৫ তারিখে আমার ভাতিজি সংগীতা সরকার মাগুরা সরকারী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ায় আমি, আমার বড় কন্যা মুড়ি বিশ্বাস এবং ছোট কন্যা সুপ্তি বিশ্বাস (০৮) মিলে সকাল ০৯.৩০ টায় মাগুরা সরকারী কলেজের সামনে আমি। ঐ সময় পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা বর্ণিত ১ নং বিবাদী তাহার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ০২ জন বিবাদীদের সহায়তায় আমার বড় কন্যা সূচি বিশ্বাসকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাইয়া ফুসলাইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক মুখ চাপিয়া ধরিয়া একটি ইজিবাইকে উঠাইয়া ভায়নার দিকে অপহরন করিয়া নিয়া যায়।
আমি ও আমার ছোট কন্যা ঘটনা দেখিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করিলে বিবাদীরা ধারাল অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখাইয়া আমার কন্যাকে দ্রুত অপহরন করিয়া নিয়া যায়। পরবর্তীতে আমি সহ আমার নিকটতম লোকজন মিলে সম্ভাব্য সকল স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করিয়া আমার কন্যার কোন সন্ধান পাওয়া যাইতেছে না। ০১ নং বিবাদী তাহার সহযোগী ০২,০৩,০৪ নং বিবাদীদের ইন্দনে অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সহায়তায় আমার কন্যাকে জোর পূর্বক অপহরন করিয়া নিয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় বিবাদীদের দ্বারা আমার কন্যার শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। খোঁজাখুঁজি করিয়া আমার কন্যার কোন সন্ধান না পাইয়া বিষয়টি নিয়া পারিবারিকভাবে আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করি। (সুমি রানী বিশ্বাস)
উক্ত বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে অফিসার ইনচার্জ করে অনুরোধ করেন।
নোয়াব আলী
You must be logged in to post a comment.
https://slotbet.online/