মহা শিবরাত্রি সম্পূর্ণ সময়সূচী ১৪৩১
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বুধবার।
মহা শিবরাত্রি চতুর্দশী শুরু= ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫(১৩ ই ফাল্গুন ১৪৩১) সকাল ১১:০৮ মিনিট।
মহা শিবরাত্রি চতুর্দশী শেষ= ২৭ ফেব্রুয়ারি (১৪ ই ফাল্গুন ১৪৩১) সকাল ০৮:৫৪ মিনিট।
সূর্য্যস্তের সময়:- ৫টা ৩৪ মিনিট;
পরদিন সূর্যোদয় :- ৬টা ০৩ মিনিট।
মোট রাত্রি ১২ঘন্টা ২৯ মিনিট।
যার*প্রতি* *প্রহর* *৩ঘন্টা* *০৭মিনিট* করে।
শিবরাত্রি পূজা শুরুঃ
১ম প্রহর- সন্ধ্যা ৫:৩৪ থেকে ৮:৪১ মিনিট
২য় প্রহর- রাত ৮:৪১ থেকে ১১:৪৮
৩য় প্রহর- রাত ১১:৪৮ টা থেকে ২:৫৫
৪র্থ প্রহর- রাত ২:৫৫ টা থেকে ৬:০৩ (সূর্যোদয়)
শিব পুরাণে ভগবান শিবের নিরাকার
নির্গুণ সরূপকে সদা শিব,সগুন সাকার
সরুপকে মহেশ্বর,সৃষ্টিক
র্তা রূপকে ব্রহ্মা,পালনকর্
তা রূপকে ভগবান বিষ্ণু,আর সংহার
রূপকে রূদ্র বলা হয়েছে।সাকার
মহেশ্বরের দেহে অনেক চিহ্ন আছে।
ভষ্মধারী শরীর।ভষ্ম আকারের শেষ
নিরাকার রূপ,মানব পশু সবার অন্তিম
আকার এই ভষ্ম,এই ভষ্ম ভগবান শিব
শরীরে ধারণ করে,অর্থাৎ শিবের শরীর
থেকেই সবকিছুর সৃষ্টি আর অন্তে তার
শরীরেই বিলীন।জটার রহস্য।মহাদেব
অখন্ড যোগী,শিবের জটার
তিনটি ধাপ,যা মানবের তিনটি শক্তির
প্রতীক,উপরের খোপা কেশ মানুষের
শারীরিক শক্তি,মাঝখানের বীজ সহিত
কেশ মানসিক আর প্রবাহিত খোলা কেশ
আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক,মানুষের
শারীরিক ও মানসিক
শক্তি সংযমবশে থাকতে হবে,আর
আধ্যাত্মিক শক্তি প্রবাহিত হতে হবে।
গঙ্গা।শিবেরমেঘরূপজটা থেকে গঙ্গার
সৃষ্টি,যার জলে স্নান করে সমস্ত পাপ ও
অশুভ দূর হয়ে পবিত্রতা প্রাপ্ত হয়,দয়ালু
শিবজী বহমান গঙ্গায়
মানুষকে পবিত্রতা প্রদান করে।চন্দ্রমা।
চন্দ্র শোভিত শিবের জটা,চন্দ্র উনার
শৃঙ্গার,অংশ নয়,এর মানে চন্দ্র যেমন
অমাবস্যা পূর্ণিমা নিয়ে আসে,ঠিক
তেমন মানুষের প্রাপ্তি ধন,যশ আভুষণের
মত হওয়া উচিত,নিজের অংশ
বানানো উচিত নয়।ত্রিনেত্র।ভগবান
হরের ত্রিনেত্র,ডান নেত্রে সূর্য,বাম
নেত্রে চন্দ্রমা,আর মাঝখানের
নেত্রে জ্ঞানাগ্নি,সূর্যের প্রকাশ ও
চাঁদনির শীতলতা উভয়ই গ্রহন
করতে হবে,আর জ্ঞানাগ্নি সমস্ত
অন্ধকার দূর করবে।ধ্যানমস্ত
আঁখি,যা সৃষ্টির নির্মান স্বরুপ,নেত্র
আধাখোলা নেত্র অর্থ নতুন
অন্তঃরীক্ষের জন্ম হচ্ছে,আর
খোলা মানে নতুন অন্তরীক্ষ
সৃষ্টি হয়ে গেছে।কুন্ডল।নীলকন্ঠের কুন্ডল
এর নাম অলক্ষয়া অর্থাৎ যা মানব চক্ষু
দ্বারা অদৃশ্য,এই কুন্ডলেই সমস্ত
মহাবিশ্বের রহস্য লুকায়মান,এই কুন্ডলের
একটি স্ত্রীকুন্ডলের
সাথে মিলে,অর্থাৎ শিবশক্তির মিলন
যা সমস্ত সৃষ্টির আধার।সর্প।সাপ যোগীর
মতই,যোগী যেমন ঘর,বস্ত্র কিছুই চাই
না,সাপেরও ঘর নেই,নিজের
চামড়া পর্যন্ত ত্যাগ করে,বাসুকী নাগ
তাই মহাযোগী শিবের অলংকার।রুদ্রাক্
ষ মালা।ভগবান মহেশ ১০৮ রুদ্রাক্ষ ধারণ
করেন,রুদ্র ও অক্ষ,রুদ্র তথা স্বয়ম শম্ভু,অক্ষ
তথা তত্ত্ব,এই ১০৮ তত্ত্ব হল
সৃষ্টি নির্মানের তত্ত্ব।ত্রিশুল,এই তিন শুল
হল শক্তি,ইচ্ছা ও জ্ঞানের প্রতীক।ডমরু।
শিবজী মানব কল্যান হেতু নাদ
সৃষ্টি করেন,যাহার মধ্যে ওঁ এর
শক্তি বিরাজমান।বরদমুদ্রা।শিবের ডান
হাত সবসময় বর দান তথা জ্ঞানদান
অবস্থায় থাকে,আর জ্ঞানের মার্গ স্বয়ম
প্রভুর মার্গ।
ওঁ নম শিবায়,হর হর মহাদেব
https://slotbet.online/