ভগবান এখানে স্পষ্টভাবে অর্জুনকে বলেছেন, জয়-পরাজয়ের বিবেচনা না করে কেবল কর্তব্যের খাতিরে যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। কারণ, ভগবানের ইচ্ছা অনুসারেই এই যুদ্ধ আয়োজিত হয়েছে।
কৃষ্ণভাবনাময় কার্যকলাপের সময় সুখ-দুঃখ, লাভ-ক্ষতি, জয়-পরাজয় আদি জাগতিক ফলাফলের বিবেচনা করা নিরর্থক। কারণ, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য যে কর্মই করা হোক না কেন, তা জাগতিক ফলাফলের অতীত-সে সমস্ত কর্মই অপ্রাকৃত কর্ম।
যে মানুষ তার ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তিসাধন করবার জন্য কর্ম করে, তার সেই কর্মের জন্য তাকে শুভ অথবা অশুভ ফল ভোগ করতে হয়। কিন্তু যে মানুষ ভগবানের সেবায় নিজেকে সর্বতোভাবে উৎসর্গ করেছেন,
তাঁর কারও প্রতি কোন কর্তব্য আর বাকি থাকে না এবং কারও প্রতি তাঁর আর কোন ঋণও থাকে না। স্বয়ং ভগবান ছাড়া আর কেউ তাঁর কর্মের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে না।
সাধারণ অবস্থায় প্রতিটি জার্মের জন্য মানুষকে কারও না কারও কাছে কৈফিয়ৎ দিতে হয়, কিন্তু ভগবানের সেবায়ময়েকে উৎসর্গ করে কর্ম করসে আর সেই সমস্ত গান থাকে না। শ্রীনাগারে গণস
‘যিনি শ্রীকৃষ্ণ বা মুকুন্দের চরণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, অন্যান্য সমস্ত কর্তব্যকাম পরিত্যাগ করলেও তিনি দেবতা, ঋষি, জনসাধারণ, আত্মীয়স্বজন বা পিতৃপুরুন্দ ব্যারও কামেই ঋণী নন।” (ভাঃ ১১/৫/৪১) কোন রকম ফলাফলের বিচার না করে শ্রীকৃষ্ণের চরণে আত্মনিবেদন করাটাই যে মানব-জীবনের পরম কর্তব্য।
সেই কথা ভগবান সংক্ষেপে অর্জুনকে জানিয়ে দিলেন। এই শ্লোকে অর্জুনের প্রতি এটিই পরোক্ষ ইদিত এবং পরবর্তী শ্লোকে ভগবান এই বিষয়ে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করবেন।
🙏🙏🙏 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে 🙏
🙏🙏🙏হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে 🙏
🔱শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ
👉[২য় অধ্যায়]-{৩৮শ্লোক}
#শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
#গীতা_শ্লোক
https://slotbet.online/