ভক্তি ভগবানের কাছে নেই, ভক্তি থাকে ভক্তের কাছে। তাই ভক্তি লাভ হয় সাধুসঙ্গে।
এক, কোন মানুষ যদি সৌভাগ্যক্রমে শুদ্ধ ভক্তের সঙ্গ লাভ করে , তাহলে তিনি ভক্তি লাভ করবেন ।
দুই, আরেকটি হলো ভক্তিমূলক সুকৃতি। অর্থাৎ যদি কেউ পূর্বজন্মে ঈশ্বরের কর্ম করে ভক্তির সুকৃতি লাভ করে থাকেন, তাহলে এই জন্মে তার সর্বদা সাধুসঙ্গ করার জন্য আসক্তি জাগ্রত হবে ।
কোন মানুষ ভক্তি উন্মুখী সুকৃতির বলে শুদ্ধ ভক্তরূপ সাধুর সঙ্গ করেন । এই জগতে বহু মানুষ আছেন যারা সাধু সঙ্গ করার জন্য জন্ম নিয়েছেন।
ভাগবত বলছে ভক্তি লাভের জন্য যদি কেউ শ্রদ্ধা জাগ্রত করেন অর্থাৎ সাধু – শাস্ত্র – গুরু বাক্যে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করেন , তাহলে তিনি গুরু পদাশ্রয় করেন । তখন তিনি ভগবানের ভজন করেন । সাধুগুরুর পদাশ্রয় ব্যতীত কেউ ভজন করতে পারবে না । কারণ কিভাবে ভজন করতে হয় তা তোমার জানা নেই । তাই গুরুদেব তোমাকে ভজন বিষয়ে শিক্ষা দেবেন ।
তাই শ্রদ্ধাপূর্বক গুরু পদাশ্রয় করে সাধুসঙ্গে হরিকথা শ্রবণ – কীর্তনরূপ ভজন ক্রিয়ায় নিযুক্ত হলে তোমার সমস্ত অনর্থ নিবৃত্তি হবে । এটি হচ্ছে সাধু সঙ্গের ফল ।
‘সাধুসঙ্গ’, ‘সাধুসঙ্গ’ — সর্বশাস্ত্রে কয় ।
লবমাত্র সাধুসঙ্গে সর্বসিদ্ধি হয় ॥
তাই সাধুসঙ্গে যখন কেউ শুদ্ধভক্তি লাভ করেন , তখন তাঁর মধ্যে স্বতঃ সমস্ত দিব্যগুণ প্রকাশিত হয় । কিন্তু যে পর্যন্ত এই সমস্ত অনর্থ নিবৃত্তি না হচ্ছে সে পর্যন্ত দিব্য গুণ – গুলি প্রকাশিত হয় না তখন বেশী বেশী সাধুসঙ্গ করা উচিত।
অধিকাংশ সাধকের বিভিন্ন স্থিতিতে পতন হওয়ার কারণ তিনি যদি কোন অপরাধ বা অসৎ সঙ্গ করে , তাহলে তার পতন হবেই ।
কেবলমাত্র শুদ্ধ ভক্তের সঙ্গে যদি কেউ শুদ্ধনাম ভজন করেন তাহলে তার মধ্যে স্বতঃ দিব্যগুণ – গুলি প্রকাশিত হবে । সেই অবস্থায় সাধকের আর কোন অনর্থ থাকে না এবং তাঁর তখন আর অন্য কোন জাগতিক বিষয়ের প্রতি রুচি জাগ্রত হয় না, তার মধ্যে তখন কেবল ভগবানের দিব্য নাম গ্রহণের রুচি বর্ধিত হয় । তিনি তখন হরিনামের প্রেমামৃত আস্বাদন করেন
জয় শ্রীকৃষ্ণ।।