বুদ্ধি প্রতি”বন্ধী সন্তানের মা শিউলি। স্বামী বলেছিলো ” এর বেঁচে থাকা কষ্ট এবং বেদনাদায়ক হবে।মে”রে ফেলাই উত্তম ”
স্বামীর এরুপ কথায় শিউলি ডুকরে কেঁদে বললো ” যেমনই হোক ও আমাদের সন্তান ”
” ওসব বাচ্চারা মায়াধারী হয়।পরে বেশি কষ্ট পাবো ”
” হোক কষ্ট ”
নিজের জেদে শিউলি ছেলেকে লালন করে।খাওয়ানো,ঘুমপাড়ানো,জামাকাপড় পরানো, সব শিউলিই করে।
অবসরে কাঁদে।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে ” ছেলের আয়ুষ্কাল পর্যন্ত আমাকেও বাঁচিয়ে রেখো ”
ছেলেটা ঘুমালে তার বাবা রোজ গালে,কপালে চু”মু খায়।নীরবে চোখের জল ফেলে।একপর্যায়ে স্ত্রীকে মলিন স্বরে বলে
” আমরা না থাকলে ওর কি হবে! ”
সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দু’জনেই নীরবে চোখের জল ফেলে।
ছেলের বয়স যখন ১২ তখন আবার সন্তান সম্ভবা শিউলি।এবার জন্ম দিলো একটা মেয়ে সন্তানের।জন্মের সাথে সাথে বাবা বললেন
” আমাদের অবর্তমানে ছেলেটাকে দেখভাল করার জন্য বোধহয় একজনকে পাঠালেন ”
কেটে গেলো ৩০ বছর।বাবার কথাই সত্যি হয়েছে।বোন নিজের ছেলের মতো করে ভাইয়ের যত্ন নেয়।কে বলবে এরা ভাইবোন? ভালোবাসা,যত্ন দেখলে মনে হবে বোন নয়,যেন দ্বিতীয় মা।