🚫বাবার যে ভু’ল গুলোর কারণে সন্তানের ভবিষ্যৎ ন’ষ্ট হয়ে যায়…!

❌ সন্তান লালন পালন কেবলমাত্র মায়ের দায়িত্ব এটা মনে করাঃ
অনেক বাবাই আছেন যারা সন্তান লালন পালন কেবল মায়ের দায়িত্ব মনে করে। সন্তান যদি সামান্য কা’ন্নাও করে তাহলে স্ত্রীর সাথে রা’গ দেখায়, স্ত্রীকে বলে ও কা’ন্না করছে কেন? দেখোনা ওর কা’ন্না থামাও না কেন? ও কি চায় দেখো…! ওকে এখনো খাওয়াতে পারলে না ওকে এখনো গোসল করাতে পারলে না?
ও অ’সুস্থ হয় শুধুমাত্র তুমি খেয়াল রাখো না বলে😔
এই সব দো’ষ দেওয়া শুরু করে। অথচ একজন বাবা হিসেবে সন্তানের এই ছোট ছোট বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখার দায়িত্বটা কিন্তু তারও কিন্তু সে এই বিষয়টা মানতে চায়’না।

❌ কেবলমাত্র সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য টা’কা ইনকাম করাকেই বাবার দায়িত্ব মনে করাঃ
…অনেক বাবাই আছেন যারা নিজের টা’কা ইনকাম টাকে অনেক বড় করে দেখেন। আর এটা নিয়ে অনেক সময় স্ত্রীকে খোঁটাও দেয়।যে আমি আমার সন্তানের জন্য খ’রচ করি,তার ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য এটা করি সেটা করি আর তোমার দায়িত্ব শুধু সন্তানের খেয়াল রাখা সেটাও পারো না…?🥺

❌ সন্তানকে সঠিক সময়টা না দেওয়াঃ
অনেক পিতাই আছে যারা সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে টা’কার পেছনে ছুটে বেড়ায়। আর এই টা’কার পিছনে ছুটে বেড়াতে বেড়াতে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে,পরিবার এবং সন্তানকে সময় দেওয়ার সুযোগটাও তাদের হয়ে ওঠেনা। সুযোগ হলেও তারা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে বলে —-বাকি সময়টা নিজের জন্যই রেখে দিতে হয়। অবসর সময়টা তারা বাইরে গিয়ে অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথেই কা’টায়। আর এদিকে সন্তান তার অপেক্ষা করতে করতে… একটা সময় অবুঝ সন্তানের মন ভে’ঙে যায়💔
বাবার প্রতি ধীরে ধীরে তার মায়া এবং টান ক’মতে থাকে ফলে ভবিষ্যতে পিতার সাথে সন্তানের সম্পর্কে বিশাল বড় ফা’টলের সৃষ্টি হয়। 👉মনে রাখবেন ছোট্ট সন্তানরা অবুঝ হয় তারা টা’কা-পয়সা ও অট্টালিকা গড়ার গুরুত্বটা তেমন বোঝেনা তারা শুধু এই বিষয়টাই শেখে বা বোঝে যে পরিবারের মানুষজন তাদেরকে কতটা ভালোবাসে,কতটা সময় দেয়,ইত্যাদি। কারণ এগুলো তাদের শারীরিক মানসিক বিকাশের পাশাপাশি সামাজিকতা ও পারিবারিক বন্ধন শেখায়। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী সুযোগ পেলেই শিশুকে পর্যাপ্ত সময় দিন।

❌ অফিস থেকে ফিরেই মোবাইল নিয়ে বসে থাকাঃ
সন্তানের সাথে গল্প করা কিংবা সন্তানের সাথে খেলাধুলা বা’দ দিয়ে বাসায় ফিরেই অনেক বাবা মোবাইল নিয়ে বসে থাকে। এটি সন্তানকে কতটা মানসিকভাবে ক’ষ্ট দেয় এটা হয়তো তারা খেয়ালই করে না। সন্তান নিজেকে বাবার কাছে গুরুত্বহী’ন ভাবতে শুরু করে। এবং ধীরে ধীরে এমন মানসিকতা নিয়ে বড় হয় যে, তার বাবা তাকে হয়তো ভালোবাসে’না। অথচ বাবা কিন্তু ঠিকই ভালোবাসে তাই তার জন্য ভবিষ্যৎ গড়তে টা’কা পয়সার পেছনে ছুটে বেড়ায়। কিন্তু কি লাভ সন্তান যদি আপনাকে ভু’ল বোঝে যে আপনি তাকে ভালইবাসেন’না সেটা তো ভবিষ্যতের জন্য মা’রাত্ম’ক ক্ষ’তিকর💔

❌ সন্তানের সামনে নিজের স্ত্রীকে ব’কাবকি করা অ’পমান করা কিংবা অ’সম্মান করাঃ
একটি বাচ্চার সাথে তার মায়ের সম্পর্কটা একেবারে আত্মার সম্পর্ক থাকে💕 তার মাকে কেউ ক’ষ্ট দিয়ে কথা বললে সন্তানটাও ক’ষ্ট পায় এবং যে তার মাকে অ’পমান করে অ’বহেলা করে কিংবা অ’পছন্দ করে সন্তানও কিন্তু সেই ব্যক্তিকে অ’পছন্দ করতে শুরু করে। এছাড়াও বাচ্চারা পরিবারের লোকজনের কাছ থেকেই শেখে সে ভবিষ্যতে কেমন হবে সেই বিষয়টি। তাই আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে খা’রাপ ব্যবহার করলে,বাচ্চাও ধরে নেবে মেয়ে মানুষের সাথে হয়তো এইরকম আ’চরণই করতে হয়। তাই অবশ্যই এই বিষয়টিতে সত’র্ক থাকা একজন বাবা হিসেবে আপনার জন্য খুবই জরুরী❗

❌ এছাড়াও বাচ্চা যে বিষয়টি জানে সেই বিষয়টি সম্পর্কে বাচ্চার সামনে আপনি যদি কারো সাথে মি’থ্যা বলেন—-এটাও কিন্তু বাচ্চার ভবিষ্যত জীবনে অনেক বেশি খা’রাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

❌ বাচ্চার সামনে ধূ’মপান করাঃ
এটাও কিন্তু মা’রাত্মক ক্ষ’তিকর। কারণ বাচ্চারা মা-বাবাকে বিশ্বাস করে। বাবাকেই নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় আইডল মানে। আর তাই বাচ্চা যদি ছোটবেলা থেকেই দেখে যে আপনি তার সামনে ধূ’মপান করছেন। তাহলে সে ভাববে বাবা তো এটা করে, তাহলে নিশ্চয়ই এটা কোন খা’রাপ কাজ নয়। আর এটা ভেবে তারও সেই ধূ’মপানের প্রতি আগ্রহ হবে। এভাবে করেই ধীরে ধীরে তার ভবিষ্যৎ ন’ষ্ট হতে থাকবে।

👉তাই সাবধান, বাচ্চার সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চাইলে এই বিষয়গুলো অবশ্যই আ’মলে রাখুন❗

কপি