• May 24, 2025, 2:06 am
শিরোনাম
কে দিল এই নাম কোন সে পুরুষ? কার জন্য নারী হলো বে*শ্যা প্রশ্ন একটাই বেসরকারি চাকরিতে ভাইভা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞেস করা হয় নিচের ৭৭ টি প্রশ্নঃ সফলতা পেতে হলে আগে নিজেকে ডেভলপ করতে হবে ফিনল্যান্ডের একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্কর্য কলকাতার সোনাগাছিতে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা আমরা সবাই মানুষ ভারতে বাংলাদেশিদের কিডনি চুরির ঘটনায় ডাক্তার আটক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে লালগোলার রথযাত্রা ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের সামনে হঠাৎ এক বৃদ্ধ রিকসাওয়ালা আসলেন সরকারী দপ্তরের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র শালিখা উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন। হিন্দু মহিলাকে পাকিস্তানে মাথা কেটে খুন মৃত্যুরহস্যের জট ছাড়াতে যাদবপুরের হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হল ধৃত সপ্তককে, চলছে ঘটনার পুনর্নির্মাণ মাঝরাতে নেশায় চুর হয়ে এক মাতাল বাড়ি ফিরছে ফিরে দেখা ইতিহাস বাংলাদেশ ও ভারত এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র মা কখনো বাড়ির পুরুষদের সাথে খান নি গাথুনী এবং প্লাস্টারের হিসাব(টাইমলাইনে রেখে দিন) মাগুরার শ্রীপুরের জমিদার বাড়ি ইউরোপের একটি দেশ যেখানে এই দৃশ্য অহরহ দেখতে পাবেন দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০ জনের আমরা সবাই রাজা বাংলাদেশের প্রথম ধনী ও শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম আপনার কি হাসি আসছে, হিরো আলম বই লিখেছে চলমান ও আসছে BDS বা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে জরিপঃ বেদের মেয়ে জোসনা’র আয় মাত্র ৭ কোটি টাকা : দাবি আজিজের হারিয়ে যাওয়া এক বিখ্যাত পেশা-ভিস্তিওয়ালা। হিন্দি তো জাতীয় ভাষা! UP-র কোর্টে ওই ভাষায় সাক্ষী দিতে বাংলার কারুর অসুবিধা কোথায়?’ সেদিনটির কথা আমি কখনোই ভুলবো না চালাক মানুষ চেনার উপায়। যখন আমার স্বামী বেঁচে ছিলেন আমি ছিলাম এই ঘরের রানী এখনকার ছেলেমেয়েরা জানেই না আগে আমাদের ছোট বেলায় কী কী কারণে পেটানো হতো – একজন ব্যবসায়ী মারা যাওয়ার পর ওনার মৃতদেহ শ্মশান নিয়ে যাবার সময় এক অচেনা ব্যক্তি এসে বলল আমি টাকা পাওনা আছি যেদিন ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটা সবার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলো আর যদি একজন বোনের ও উপকারে আসে তাহলে আমার লিখাটা স্বার্থক হবে। এই পৃথিবীতে ১২ প্রকার স্বামী আছে

ট্রেনে উঠে জানালার পাশে বসে থাকা মানুষ থেকে অভিজ্ঞতা পেলাম

Reporter Name 371 Time View
Update : শিরোনাম বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৪, ২০২৪

দীনবন্ধু মজুমদার : ট্রেনে উঠে জানালার পাশে সিট টা পেয়ে বসে মোবাইলটা বের করে হেড ফোনটা কানে দিয়ে গান শুনছিলাম। আমার সামনের সীটে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক বসেছিলেন। দুপুরের সময় ট্রেনে যাত্রী খুব কমই ছিল। হঠাৎ টিটি টিকিট চেক করতে আসতে দেখে বয়স্ক ভদ্র লোকটি বেশ ভয় পেয়ে গেলেন। তাঁর হাবভাব দেখে আমি জিজ্ঞেস করলাম, টিকিট কি কাটা হয় নি আপানার ?

ভদ্র লোকটি খুব শান্ত স্বরে বললেন, ট্রেন স্টেশনে ঢুকে যাওয়ায় টিকিট কাটার সময় পাইনি। আর আমার কাছে ফাইন দেওয়ার মতো টাকাও নেই ।

আমি তাঁকে অভয় দিয়ে বললাম, চিন্তা করবেন না, ফাইন এর টাকা টা আমি দিয়ে দেব। আমার কথা শুনে তিনি খুবই আনন্দিত হলেন।

কিন্তু টিটিকে দেখলাম কোন কারন বশত আমাদের কাছে টিকিট চেক করতে না এসে হিজলি স্টেশনে নেমে পড়লো। যাই হোক আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, কোথায় যাবেন ?

বয়স্ক লোকটি যেন একটু ভাবনায় পড়ে গেলেন । তারপর বললেন হাওড়া যাব ভেবেছিলাম, কিন্তু এবার ভাবছি বাঁকুড়া যাব ।

তাঁর কথা শুনে আমি একটু অবাক হলাম । তিনি বললেন, জানো বাবা, আমার নাম বীরেন মণ্ডল, আমি একটা কোম্পানিতে কাজ করতাম । দুই ছেলে আর এক মেয়ে রেখে আমার স্ত্রী মারা যায়। আর বিয়ে করি নি এই ভয়ে যে, সতীন মা এসে আমার বাচ্চাদের উপর অত্যাচার করতে পারে। বাবা হয়েও আমি তাদের মায়ের মতো খুব আদর যত্ন দিয়ে বড় করেছিলাম। যা টাকা রোজগার করতাম ছেলে দুটোর পড়াশুনার পেছনেই খরচ করে ফেলতাম। বড় ছেলে এখন স্কুল মাস্টার আর ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। মেয়েটাও আমার পড়াশুনায় অনেক ভাল ছিল। কিন্তু তিন জনের পড়ার খরচ চালাতে পারছিলাম না বলে মেয়েকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করিয়ে বিয়ে দিয়ে দিলাম। বড় ছেলে দাঁতন এ থাকে আর ছোট ছেলে হাওড়া তে ।

আমি বললাম , তাহলে আপনি ছোট ছেলের কাছে যাবেন? কথা টা শুনে তিনি খুব করুন সুরে বললেন , দুই ছেলে বিবাহিত, তাদের ছেলে- মেয়ে নিয়ে থাকে। আমাকে তারা ভাগ করে নিয়েছে । আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ‘ ভাগ করে নিয়েছে মানে’ ?

মাসে ১৫ দিন বড় ছেলে আর ১৫ দিন ছোট ছেলের বাড়ীতে থাকি, তারা ভাগ করে এই বৃদ্ধ বাবার প্রতি ছেলে হওয়ার দায়িত্ব পালন করছে ।

ছোট ছেলের বাড়ীতে ছিলাম। শরীরটা খুব খারাপ ছিল , কিন্তু ১৫ দিন হয়ে গিয়েছিল। বউমাকে বললাম একদিন পরে যাব। কিন্তু বউ মা শুনল না , চলে যেতে বলল বড় ছেলের বাড়ীতে, তা নাহলে আর খাবার মিলবে না। অসুস্থ শরীর নিয়েই আমি বড় ছেলের বাড়ীতে এসে দেখি দরজায় তালা ঝোলানো। তারা জানে আমি আসবো, তবুও কোথাও বেড়াতে চলে গিয়েছে পরিবার নিয়ে।

আসলে তারা কেউ এই অসুস্থ বুড়োটার দেখভাল করার দায়িত্ব নিতে চায় না।

কথা গুলো বলতে বলতে বীরেন বাবুর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। আমি তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

তিনি কাঁদতে কাঁদতে দুঃখ প্রকাশ করে বললেন , ছেলে দুটোর পরিবর্তে মেয়েটাকে যদি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতাম তাহলে খুব ভালো হতো। মেয়ে বাঁকুড়াতে থাকে। জামাই এর একটা ভুষিমাল দোকান আছে। আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। মেয়ে আমার অঙ্গনওয়ারীতে একটা কাজ করে। অনেক বার ডেকেছে, বাবা তুমি আমাদের বাড়ীতে এসে থাকো। ছেলে থাকতে মেয়ের বাড়ীতে গিয়ে থাকা সমাজ ভালো চোখে দেখে না। তবুও মেয়ের বাড়িতেই যাব ভাবছি। আমার কাছে ভালো খাওয়া দাওয়ার চেয়ে একটু ভালোবাসাই অনেক বেশি মুল্যবান।

মেয়ের কাছে গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চাইব প্রথমে … তার ভাইদের পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য তার পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়ে তার জীবনের স্বপ্ন গুলো ধ্বংস করে দিয়েছি। তখন ভাবতাম, মেয়েরা তো বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়ী চলে যাবে। বুড়ো বয়সে দেখাশোনা তো ছেলেরাই করবে। তাই মেয়েকে আর পড়ালাম না। তার স্বপ্ন গুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলাম।

বীরেন বাবুর কথা গুলো শুনে খুব কষ্ট হচ্ছিল, মনে মনে বললাম, বাবা মা এর দায়িত্ব ছেলে মেয়ে যতদিন না সমান ভাবে বহন করতে শিখবে ততদিন হয়তো সমাজে নিজেদের ছেলে- মেয়ের প্রতি বাবা মা এর ধারনা বীরেন বাবুর মতই থাকবে,

এরকম কেও করো না প্লীজ,,,,আগামী প্রজন্ম তাহলে সেটাই করবে,,,আমার বাবা মা তো আমার কাছে ভগবান।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category
https://slotbet.online/