• July 12, 2025, 10:50 pm
শিরোনাম
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের দিন মজুর সুকলাল দাস ও কণিকা দাসের কন্যা পুষ্পমালা দাস রাধা-কৃষ্ণের নিত্য পূজার জন্য কিছু সাধারণ নিয়মা বলী নিচে দেওয়া হলোঃ যারা কুমিল্লার মুরাদনগরের বোনটির চরিত্রের ব্যবচ্ছেদ করছেন শিব লিঙ্গ পূজা হিন্দু ধর্মে, বিশেষ করে শৈব সম্প্রদায়ে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাসনা পদ্ধতি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের পাইলট নিহত, এফ-১৬ বিমান ভূপাতিত আজব দুনিয়া আজব নিয়ম এই সমাজে – কি করবেন এরা স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না বেসরকারি চাকরিতে ভাইভা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞেস করা হয় নিচের ৭৭ টি প্রশ্নঃ যারা আপনার সাফল্য বা সুখ সহ্য করতে পারে না, কে দিল এই নাম কোন সে পুরুষ? কার জন্য নারী হলো বে*শ্যা প্রশ্ন একটাই সফলতা পেতে হলে আগে নিজেকে ডেভলপ করতে হবে ফিনল্যান্ডের একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্কর্য কলকাতার সোনাগাছিতে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা আমরা সবাই মানুষ ভারতে বাংলাদেশিদের কিডনি চুরির ঘটনায় ডাক্তার আটক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে লালগোলার রথযাত্রা ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের সামনে হঠাৎ এক বৃদ্ধ রিকসাওয়ালা আসলেন সরকারী দপ্তরের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র শালিখা উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন। হিন্দু মহিলাকে পাকিস্তানে মাথা কেটে খুন মৃত্যুরহস্যের জট ছাড়াতে যাদবপুরের হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হল ধৃত সপ্তককে, চলছে ঘটনার পুনর্নির্মাণ মাঝরাতে নেশায় চুর হয়ে এক মাতাল বাড়ি ফিরছে ফিরে দেখা ইতিহাস বাংলাদেশ ও ভারত এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র মা কখনো বাড়ির পুরুষদের সাথে খান নি গাথুনী এবং প্লাস্টারের হিসাব(টাইমলাইনে রেখে দিন) মাগুরার শ্রীপুরের জমিদার বাড়ি ইউরোপের একটি দেশ যেখানে এই দৃশ্য অহরহ দেখতে পাবেন দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০ জনের আমরা সবাই রাজা বাংলাদেশের প্রথম ধনী ও শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম আপনার কি হাসি আসছে, হিরো আলম বই লিখেছে চলমান ও আসছে BDS বা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে জরিপঃ বেদের মেয়ে জোসনা’র আয় মাত্র ৭ কোটি টাকা : দাবি আজিজের হারিয়ে যাওয়া এক বিখ্যাত পেশা-ভিস্তিওয়ালা। হিন্দি তো জাতীয় ভাষা! UP-র কোর্টে ওই ভাষায় সাক্ষী দিতে বাংলার কারুর অসুবিধা কোথায়?’ মাগুরা স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন আলেয়াকে বিয়ে করার ২৫ দিনের মাথায় বাহরাইন চলে যাই গতকাল নড়াইল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে এক উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা শনি দেবের দুই স্ত্রীর নাম হলো নীলা এবং মান্দা বা ধামিনী। গো মাতা কেন সনাতন ধর্মে পূজনীয়? খুলনায় সাবেক যুবদলের নেতাকে গুলি করে হত্যা কৃষ্ণের_মুখে_ব্রহ্মাণ্ড দর্শনের এক গভীর ভক্তিময় অনুভূতি শ্রী_রাম_চালিসা মন্দির পরিক্রমা আজ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে BMJP পার্টির মিটিং

জেনে নিন যশোর রোডের প্রাচীন ইতিহাস

Reporter Name 24 Time View
Update : শিরোনাম বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৪

জেনে নিন যশোর রোডের প্রাচীন ইতিহাস

প্রিয় যশোর রোড চলে গেছে বাংলাদেশ আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বুক চিরে। যার পথের শুরু বাংলাদেশের যশোর থেকে, আর শেষ বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল পেরিয়ে সেই কলকাতায়। ইতিহাস বলছে, যশোর থেকে বেনাপোল- পেট্রাপোল- বনগাঁ- হাবড়া-বারাসাত পার হয়ে কলকাতার শ্যামবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই ১২৫ কিলোমিটারের যশোর রোড। বাংলাদেশের অংশটুকু যশোর-বেনাপোল সড়ক নামে পরিচিত হলেও পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে একেবারে কলকাতা বিমানবন্দর ছাড়িয়ে নাগের বাজার হয়ে শ্যামবাজার পর্যন্ত চলে যাওয়া এই সড়ককে যশোর রোড নামেই জানে মানুষ। এই বিস্তৃত যশোর রোডের ৩৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে, বাকিটা পশ্চিমবঙ্গে

বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ আর যশোর রোড এক সূত্রে গাঁথা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা থেকে বাঁচতে পূর্ব বাংলা থেকে অসংখ্য মানুষ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল ভারতের সীমান্তে। গাড়ি বা ট্রেন ভ্রমণ তখন এই পালিয়ে বেড়ানো মানুষগুলোর জন্য নিতান্তই বিলাসিতা। কয়েক হাজার বাঙালি তখন এই যশোর রোড ধরে পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিয়েছিল দীর্ঘ পথ, শুধুমাত্র শরণার্থী শিবিরে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। কিন্তু ৭১ এর বাস্তবতা এত সহজ ছিল না। বহু পথযাত্রী নিঃস্ব ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় হাঁটার কষ্ট সহ্য না করতে পেরে মারা যান এই যশোর রোডের বুকে। অনেক রোগাক্রান্ত শিশু মায়ের কোলেই মারা যায় এই পথ দিয়ে যেতে যেতে

ঠিক এই সময়েই ভারতে এসেছিলেন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ। যশোর রোড ধরে হাজার হাজার শরণার্থীর পথচলার ছবি ছাপ ফেলেছিল তার হৃদয়েও। যার বর্ণনাতেই তিনি লিখেছিলেন ১৫২ লাইনের কবিতা, ‘‌সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’‌। গিন্সবার্গের ওই কবিতায় সুর দিয়ে সেই গানকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন বব ডিলান। আর এভাবেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি রাস্তায় অখ্যাত কতগুলি নিরীহ মানুষের যন্ত্রণা পৌঁছে যায় সারা বিশ্বে। ঠিক এতোটাই হৃদয়স্পর্শী ছিল ৭১ এ যশোর রোডের পটচিত্র

কেবল ৭১ ই নয়, এই রাস্তার রয়েছে আরও এক সুপ্রাচীন ইতিহাস। ১৮৪০ সালের দিকে নড়াইলের জমিদার কালী পোদ্দার তাঁর মায়ের গঙ্গাস্নানের জন্য যশোরের বকচর থেকে কলকাতার কালীঘাট পর্যন্ত এই রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ের দুই লক্ষ আটান্ন হাজার টাকা খরচ করে কয়েক হাজার শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রমে ১৮৪২ সালে সম্পূর্ণ হয়েছিল নির্মাণ কাজ। এরপর জমিদার কালী পোদ্দার রাস্তায় ছায়ার জন্য দু’ধারে প্রচুর বৃক্ষ রোপণ করেন। শতবর্ষী এই গাছগুলো এখনো দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে

আজও যশোর রোডের দুই পাশের শতবর্ষী বৃক্ষ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এখন যশোর রোড আরও বেশি প্রশস্ত। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই যা অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক সড়কের মর্যাদা। তাই, বিজয়ের মাসে একাত্তরকে ফিরে দেখতে, আপনিও হেঁটে আসতে পারেন যশোর রোডের উপর দিয়ে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category
https://slotbet.online/