কে দিল এই নাম কোন সে পুরুষ?
কার জন্য নারী হলো বে*শ্যা প্রশ্ন একটাই? নজরুল ইসলামের এই কবিতাটা সমাজের বাস্তব চিত্রের প্রতিচ্ছবি।
বে*শ্যা
——-বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
সাধুর নগরে বে*শ্যা মরেছে–
পাপের হয়েছে শেষ,
বে*শ্যার লা*শ হবে না দাফন
এইটা সাধুর দেশ।
জীবিত বে*শ্যা ভোগে তো আচ্ছা, মরিলেই যত দোস?
দাফন কাফন হবে না এখন
সবে করে ফোস ফোস।
বে*শ্যা তো ছিল খাস মাল, তোদের রাতের রানী,
দিনের বেলায় ভুরু কোচ কাও?
মরিলে দেওনা পানি!
সাধু সুনামের ভেক ধরিয়া দেখালি দারুন খেলা,
মুখোশ তোদের খুলবে অচিরে
আসবে তোদের বেলা।
রাতের আধারে বে*শ্যার ঘর স্বর্গ তোদের কাছে,
দিনের আলোতে চিননা তাহারে?
তাকাও নাকো লাজে!
চিনি চিনি ভাই সব সাধু রেই হরেক রকম সাজ,
সুযোগ পেলেই দরবেশী ছেরে দেখাও উদ্দাম নাচ!
নারী আমাদের মায়ের জাতি বে*শ্যা বানালো কে?
ভদ্র সমাজে সতীর ছেলেরা খদ্দের সেজেছে?
গরীবের বৌ সস্তা জিনিস সবাই ডাকো ভাবি,
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দাও আদিম পাপের দাবি।
স্বামী যখন মরলো ভাবির দুধের শিশু কোলে,
ভদ্র দেবর সুযোগ খোঁজে সহানুভূতির ছলে,
দিনের মত দিন চলে যায়,
হয় না তাতে দোষ
মরা লা*শের সুযোগ পেয়ে মোল্লার রোষ।
মোল্লা সাহেব নায়েবে রাসুল ফতোয়া ঝারিয়া কয়,
পতিতা নারীর জানাজা ক*ব*র এই এলাকায় নয়।
শুধাই আমি ওরে মোল্লা জানাযায় যত দোষ,
বে*শ্যা*র দান নিয়াছো ঝুলিতে তুমি বেটা নির্দোষ?
বে*শ্যা*র তবু আছে পাপ বোধ নিজেকে সে ভাবে দোষী,
তোমরা তো বেটা দান বেচে খাও হয়েছো খোদার খাসি।
আল্লাহর ঘর মসজিদে ও আছে বে*শ্যা*র দান –
কলেমা পড়েছে সে ওতো তবে নামেতে মোসলমান!
বে”শ্যা নারী ব্যবসায় নারী পুরুষরা কি সব সৎ?
জানি মোল্লা খুলবে না মুখ চাকরি যাওয়ার পথ!
আর কতকাল থাকবি অমন মুখোশ ধারীর দল,
আসবো এবার মশাল নিয়ে ভাঙতে তোদের কল।
সত্যর আলো জলবে যখন চিনবে তোদের সবে,
লে*বা*শধারী মুখোশধারী মুখোশ উপড়ে যাবে।
এই ভাবে আর চালাবি কত ছল চাতুরীর খেলা।
আসবে তিনি, এবার তোদের বিদায় নেবার পালা।।।
প্রশ্ন —: নারীদের বে*শ্যা বানায় কারা? পুরুষের স্পর্শ ছাড়া তো কোন নারীরা ক*ল*ঙ্কিত বা (বে*শ্যা) হয় না।
তাহলে আঙ্গুল টা কেন নারীদের (বে*শ্যা) দিকেই উঠে?
সংগৃহীত