• July 12, 2025, 10:59 pm
শিরোনাম
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের দিন মজুর সুকলাল দাস ও কণিকা দাসের কন্যা পুষ্পমালা দাস রাধা-কৃষ্ণের নিত্য পূজার জন্য কিছু সাধারণ নিয়মা বলী নিচে দেওয়া হলোঃ যারা কুমিল্লার মুরাদনগরের বোনটির চরিত্রের ব্যবচ্ছেদ করছেন শিব লিঙ্গ পূজা হিন্দু ধর্মে, বিশেষ করে শৈব সম্প্রদায়ে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাসনা পদ্ধতি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের পাইলট নিহত, এফ-১৬ বিমান ভূপাতিত আজব দুনিয়া আজব নিয়ম এই সমাজে – কি করবেন এরা স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না বেসরকারি চাকরিতে ভাইভা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞেস করা হয় নিচের ৭৭ টি প্রশ্নঃ যারা আপনার সাফল্য বা সুখ সহ্য করতে পারে না, কে দিল এই নাম কোন সে পুরুষ? কার জন্য নারী হলো বে*শ্যা প্রশ্ন একটাই সফলতা পেতে হলে আগে নিজেকে ডেভলপ করতে হবে ফিনল্যান্ডের একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্কর্য কলকাতার সোনাগাছিতে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা আমরা সবাই মানুষ ভারতে বাংলাদেশিদের কিডনি চুরির ঘটনায় ডাক্তার আটক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে লালগোলার রথযাত্রা ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের সামনে হঠাৎ এক বৃদ্ধ রিকসাওয়ালা আসলেন সরকারী দপ্তরের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র শালিখা উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন। হিন্দু মহিলাকে পাকিস্তানে মাথা কেটে খুন মৃত্যুরহস্যের জট ছাড়াতে যাদবপুরের হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হল ধৃত সপ্তককে, চলছে ঘটনার পুনর্নির্মাণ মাঝরাতে নেশায় চুর হয়ে এক মাতাল বাড়ি ফিরছে ফিরে দেখা ইতিহাস বাংলাদেশ ও ভারত এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র মা কখনো বাড়ির পুরুষদের সাথে খান নি গাথুনী এবং প্লাস্টারের হিসাব(টাইমলাইনে রেখে দিন) মাগুরার শ্রীপুরের জমিদার বাড়ি ইউরোপের একটি দেশ যেখানে এই দৃশ্য অহরহ দেখতে পাবেন দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০ জনের আমরা সবাই রাজা বাংলাদেশের প্রথম ধনী ও শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম আপনার কি হাসি আসছে, হিরো আলম বই লিখেছে চলমান ও আসছে BDS বা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে জরিপঃ বেদের মেয়ে জোসনা’র আয় মাত্র ৭ কোটি টাকা : দাবি আজিজের হারিয়ে যাওয়া এক বিখ্যাত পেশা-ভিস্তিওয়ালা। হিন্দি তো জাতীয় ভাষা! UP-র কোর্টে ওই ভাষায় সাক্ষী দিতে বাংলার কারুর অসুবিধা কোথায়?’ মাগুরা স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন আলেয়াকে বিয়ে করার ২৫ দিনের মাথায় বাহরাইন চলে যাই গতকাল নড়াইল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে এক উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা শনি দেবের দুই স্ত্রীর নাম হলো নীলা এবং মান্দা বা ধামিনী। গো মাতা কেন সনাতন ধর্মে পূজনীয়? খুলনায় সাবেক যুবদলের নেতাকে গুলি করে হত্যা কৃষ্ণের_মুখে_ব্রহ্মাণ্ড দর্শনের এক গভীর ভক্তিময় অনুভূতি শ্রী_রাম_চালিসা মন্দির পরিক্রমা আজ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে BMJP পার্টির মিটিং

কালেক্টর ম্যাডাম, আপনি মেকআপ করেন না কেন ?”

Reporter Name 168 Time View
Update : শিরোনাম শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪

কেরলের মলাপ্পুরম জেলার কালেক্টর শ্রীমতী রানী সোয়ামই….এক ঝাঁক কলেজ ছাত্রীদের সাথে কথা বলছিলেন ।

মহিলার কবজিতে সামান্য একটা ঘড়ি ছাড়া অন্য কোন প্রসাধন নেই । ছাত্রীরা দেখে আশ্চর্য্য হয়ে যায়, যে ওনার মুখের ওপরে সামান্য ফেস পাউডারের স্পর্শ মাত্র নেই ।

কথাবার্তা মূলতঃ ইংরিজিতেই হচ্ছিল । ভদ্রমহিলা দুই তিন মিনিট মাত্র কথা বলেছেন । ওনার প্রতিটি শব্দের মধ্যে দৃঢ় সংকল্পের স্পষ্ট আভাস ।

কথপোকথন হচ্ছিল, — “আপনার নাম ম্যাডাম ?”

— “আমার নাম রানী । সোয়ামই আমার পারিবারিক নাম । আমি ঝাড়খন্ড রাজ্যের মূল নিবাসী । আর কিছু জানতে চাও ?”

ভিড়ের মধ্যে একটি মেয়ে হাত তোলে ।

— “হ্যাঁ, বলো ?”…

— “ম্যাডাম, কিছু মনে করবেন না । আপনি মেকআপ করেন না কেন ?”

প্রশ্ন শুনে কালেক্টর ম্যাডাম হঠাৎ-ই অস্বস্তি বোধ করেন । ওনার মুখের হাসি মিলিয়ে যায় । ছাত্রীরাও চুপ !

ম্যাডাম কালেক্টর টেবিলের ওপর রাখা বোতল থেকে অল্প জল খেয়ে মেয়েটিকে বসার ইঙ্গিত করেন । স্বল্পভাষী কালেক্টর ম্যাডাম বললেন, — “দেখ, তোমার প্রশ্নটা সত্যিই বেশ মুশকিলে ফেলেছে । দু’-এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় । এর জন্য তোমাদের আমার জীবনের কিছু স্মৃতি ভাগ করে নিতে হবে । তার জন্য হয়তো তোমাদের ব্যস্ত সময়ের থেকে মিনিট দশেক লাগতে পারে । তোমরা কি দশ মিনিট ধৈর্য্য ধরতে রাজি আছ ?”

— “হ্যাঁ হ্যাঁ, ম্যাডাম, আমরা রাজি আছি, আপনি বলুন ।” মেয়েরা সমস্বরে বলে ওঠে ।

— “ঠিক আছে । আমার জন্ম হয়েছিল ঝাড়খন্ড রাজ্যের এক আদিবাসী পরিবারে ।” কালেক্টর ম্যাডাম একবার তাঁর শ্রোতাদের মুখের পানে দৃষ্টি দেন । সকলে আগ্রহ ভরে তাকিয়ে তাঁর দিকে ।

— “আমার জন্ম কোডারমা জেলার এক প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকার একটা ছোট্ট ঝুপড়ির মধ্যে । চারপাশে মাইকা-র খনি ।

— “বাবা মা সেখানেই খনিকের কাজ করতেন । আমার চেয়ে বড় দুই ভাই ছিল, আর একটা ছোট বোন । আমরা সকলেই ঐ ছোট্ট ঝুপড়িটার মধ্যে থাকতাম । বর্ষায় ঝুপড়ির মধ্যে জল ঝরতো, শীতে শিশির । বাবা মা খুবই কম পয়সায় ঐ সব খাদানে কাজ করতেন, কারণ ও ছাড়া অন্য আর কোন কাজ তাঁরা জানতেন না । তবে কাজটা ছিল খুবই নোংরা ।”

— “আমার যখন বছর চারেক বয়স, বাবা – মা, দুই ভাই, সকলেই কেন জানিনা কি এক অজানা অসুখে আক্রান্ত হয়ে বিছানা নিলেন । আচ্ছা, তখন ওঁরা নিজেরাও জানতেন না যে তাঁদের রোগের মূল কারণ হলো ঐ খাদানের বাতাসে মিশে থাকা মাইকা-র ধূলো । আমার বয়স ৫ বছর হতে না হতে এক ভাই মারা গেল রোগে ।”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে কালেক্টর ম্যাডাম চুপ করে থাকেন । রুমাল দিয়ে চোখের জল মোছেন । পুরোনো স্মৃতি সত্যিই কষ্টদায়ী ।

— “বেশিরভাগ দিনই খাবার বলতে জুটতো একটা কি দুটো রুটি আর ভরপেট জল । রোগে ভুগে একসময় দুই ভাইয়েরই মৃত্যু হলো । তোমরা বলবে ডাক্তার দেখানো উচিত ছিল । আমাদের গ্রামে ডাক্তার তো দূরের কথা, একটা স্কুল পর্যন্ত ছিল না । ছিল না কোন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা নিদেনপক্ষে একটা শৌচাগার । বিদ্যুৎ তো ছিলই না । তোমরা কল্পনা করতে পার এমন একটা গ্রামের কথা ?”

— “এর মধ্যেই একদিন বাবা হাড় চামড়া সার, অভুক্ত, আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল টিনের চাদর দিয়ে ঘেরা একটা অভ্র খাদানে । পুরোনো আর গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদানটা বেশ বদনামও কুড়িয়েছে । লাগাতার খুঁড়তে খুঁড়তে তখন খাদানটা অতলান্ত গভীর । মাটির নিচে শত সহস্র ধারায় ছড়িয়ে পড়েছে তার গভীর গহ্বরের জাল । আমার কাজ ছিল খনির ঐ ছোট ছোট গহ্বরের মধ্যে ঢুকে সেখান থেকে অভ্রের আকরিক তুলে নিয়ে আসা । দশ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েরাই পারে ঐরকম গভীর গর্ত থেকে অভ্রক তুলে আনতে ।”

— “কাজের পর জীবনে সেই প্রথমবার আমি ভরপেট রুটি খেতে পেলাম । কিন্তু, অনভ্যস্ত পেটে সইলো না, ….আমার বমি হয়ে গেল ।”

— “যে বয়সে স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করার কথা, সেই বয়সে অন্ধকার গুহার মধ্যে ঢুকে অভ্রক তুলে আনছিলাম ।”

— “বিষাক্ত ধূলোর মধ্যে বদ্ধ জায়গায় নিঃশ্বাস নিতে বাধ্য হচ্ছিলাম । কতবার অভ্রকের খনি ধ্বসে পড়েছে, ভেতরে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা আটকা পড়ে মারা গেছে । না হলে দুরারোগ্য ব্যাধির কামড়ে মারা গেছে । সেটাই তাদের নিয়তি ।”

— “দিনে আট ঘণ্টা কঠিন পরিশ্রম করার পর একবেলা কোনরকমে খাবার জোটানোর মতো পয়সা পাওয়া যেত । নিত্য দিনের ক্ষুধা তৃষ্ণা আর বিষাক্ত ধূলোর মধ্যে শ্বাস নেওয়ার কারণে আমি ধীরে ধীরে অসুস্থ আর নিস্তেজ হয়ে পড়ছিলাম ।”

— “বছর ঘুরতে না ঘুরতে আমার ছোট বোনটাও এসে লাগে খাদানের কাজে । বাবার শরীর একটু জুৎ হতেই তিনিও জুটে যান খাদানের কাজে । এখন সকলে মিলে একসাথে কাজ করার ফলে কাউকেই না খেয়ে থাকতে হয়না ।”

— “তবে কপালের লিখন কে করবে খন্ডন ? সেবার আমার ধূম জ্বর । আমাকে ঘরে রেখে মা বাবা বোন সকলেই গেছে কাজে । আচমকা মুষলধারে বৃষ্টি নামে । খনির ভেতরে শ্রমিকরা কাজ করছিল, জলের তোড়ে খনিতে ধ্বস নামার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক চাপা পড়ে মারা যায় । তাদের মধ্যে আমার মা বাবা বোন সকলেই ছিল । আমি পরিবারহারা হলাম ।”

কালেক্টর ম্যাডামের দুই চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে । শ্রোতারা বাক্যহারা । অনেকেরই চোখে জল ।

— “মনে রাখতে হবে আমি তখন মাত্র ছ’বছরের শিশু । শেষমেষ আমি গিয়ে পৌঁছই সরকারি অগাতি মন্দিরে । সেখানেই আমার শিক্ষার শুরু । যদিও আমার গ্রামেই আমার অক্ষর জ্ঞান হয়েছিল । আর আজ সেই অভ্রক খাদানের পরিবার – পরিজনহীন মেয়েটাই এখানে আপনাদের সামনে কালেক্টর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।”

— “বুঝতে পারছি, এখন তোমরা ভাবছ আমার জীবনের এই অতীতের সাথে মেকআপ ব্যবহার না করার কি সম্পর্ক থাকতে পারে, তাই তো ?”

— “পরবর্তী সময়ে শিক্ষা গ্রহণের কালখন্ডে আমি জানতে পারি যে ছোটবেলায় সেই বিপজ্জনক ছোট ছোট অন্ধকার গুহার ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে যে অভ্রক আমি তুলে আনতাম সেগুলো আসলে মেকআপ সামগ্রী তৈরীর কাজে লাগে ।”

— “অভ্রক আদতে মুক্তর মতো একটা খনিজ সিলিকেট । বড়ো বড়ো প্রসাধনী বস্তু প্রস্তুতকারী দেশী বিদেশী কোম্পানিগুলো তাদের প্রডাক্টের মধ্যে চামড়ায় একটা চমকদার জেল্লা বা ‘গ্লেজ্’ ফুটিয়ে তোলার জন্য মিশিয়ে থাকে । কসমেটিকস্ কম্পানিগুলোর ভাঁড়ারে নিয়মিত অভ্রকের যোগান দেয় ঐ আমার মতোই ২০,০০০ ছোট – ছোট বাচ্চা – বাচ্চা ছেলেমেয়েরা । গোলাপ কোমল সেই শিশুদের ফুলের মত জীবনের রক্ত মাংস পাথরে থেঁতলে তবেই না অভ্রক মানুষের গালের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে !”

— “আজও আমাদের চামড়ার সুন্দরতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য থেকে বঞ্চিত ছোট ছোট বাচ্চাদের হাত দিয়ে তুলে আনা লক্ষ লক্ষ টাকার অভ্রকের ব্যবহার কসমেটিকস্ কম্পানিগুলো করে চলেছে ।”

— “আমার যা বলার ছিল তোমরা শুনলে । এবার বলো তো আমি কি করে সৌন্দর্য্য প্রসাধনী ব্যাবহার করি ? বাবা মা ভাই বোন সকলকেই অভ্রকের খনি গ্রাস করে নিল । যে মায়ের গায়ে কোনদিন ছেঁড়া কাপড় ছাড়া অন্য কিছু দেখলাম না, তার স্মৃতি মাথায় নিয়ে আমি কি করে রেশমী শাড়ি পড়ে ঘুরি ?”

কালেক্টর ম্যাডাম রানী সোয়ামই নিজের কাজে চলে গেলেন । কলেজের ছাত্রীরা স্থানু হয়ে বেশ কিছু সময় সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর তারাও নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।

(আজও ঝাড়খন্ডের উচ্চ গুণমান সমৃদ্ধ অভ্রকের খনি থেকে হাজার হাজার বাচ্চা স্কুলে না গিয়ে অভ্রক তোলার কাজে লেগে আছে । তারা হয় রোগে ভুগে, নয় না খেতে পেয়ে অপুষ্টিতে কষ্ট বা ভূ-স্খলনে মাটি চাপা পড়ে মারা যায় ।)

এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে । দিন মাস বছর ঘুরেছে । সেই কালেক্টর ম্যাডাম এখন ভারত গণরাজ্যের প্রথম নাগরিক ।
*মহামহিম রাষ্ট্রপতি*
*শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ।*
*ভারত গণরাজ্যের রাষ্ট্রপতি ।*
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳

*সংকল্প, পুরুষার্থ, প্রারব্ধ –*
*মানুষের জীবনের তিন স্তম্ভ ।*
*জয়তু মা ভারতী ।* 🙏🏽🪷

#সংগৃহীত


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category
https://slotbet.online/