Prakash Gupta দাদার ওয়াল থেকে।
কালীদাস বড়ালের কি হয়েছিল, কে করেছিল জানেন?ঃ-
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী হিন্দুবান্ধব সরকার শেখ হাসিনার ভাই শেখ হেলালই খুন করেছিল।
কেন করেছিল?
কালীদাস বড়ালের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিল, রক্ত দিয়ে ৭১ এর রনাঙ্গনে বাগেরহাটে দাস পার্টির জগৎজৌতি দাসের সাথে বাগেরহাটে যুদ্ধ করেছিলেন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের রাহু মুক্ত করতে।
হিন্দু হওয়ার কারনে জগৎজৌতি দাস প্রথম শহীদ হওয়ার পরেও ১ম বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দিতে শেখ মুজিব রাজি হয়নি, বাকী ৭ জন মুসলিমকে দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কালীদাস বড়ালেরও ঠাঁই হল না তাঁহার পিতার হাতে তৈরী সোনার বাংলার মাটিতে। তবু আওয়ামীলীগ নিয়ে হিন্দুরা গদগদ!
অধিকারের জন্য তিনি সিদ্ধান্ত নেন হিন্দু অধ্যুষিত গোপালগঞ্জ ছিল ৭০-৮০% হিন্দু ভোটার। শেখ হাসিনার ভাই শেখ হেলাল নির্বাচিত হয়ে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল বিতারন ও হিন্দু নারীদের আগেরদিন যে বাড়ীর মেয়ে পছন্দ হতো সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের মতো বেছে বেছে অর্ডার দিয়ে রাতে তুলে নিয়ে ধর্ষন করতো তারই গুন্ডালীগ বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব হিন্দু নির্যাতনের খবর জেনেও ইসলামের খেদমতের জন্য নিরব থাকতো, কারন ইসলামের পবিত্র কর্তব্য হল কাফের নিধন, কাফেরদের সম্পত্তি দখল, গনিমতের মাল বানিয়ে ভোগ করা। তারিখ-ই ফিরোজ শাহ বইতে লেখা আছে কাফেরদের ধুলি কনার মতো উড়িয়ে দিয়েছিল, প্রক্ষিপ্তভাবে কাফেরদের লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে লাগল।
কোরানেই লেখা আছে- অতপর নিষিদ্ধ মাস অতিক্রম হলে তাদেরকে যে দিকে পাও তাদের পথ আকরে ধর, তাদের পথ আটকাও, তাদেরকে জোরায় জোরায় উল্টোদিক থেকে কাট। যদি তারা তওবা পড়ে নামাজ আদায় করে তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় তুমি সুমহান আল্লাহ। নিষিদ্ধ মাসেই কিন্তু বহু হিন্দু আক্রান্ত হয়ে চলেছে, রেহাই নেই।
কালীদাস বড়াল ও এখনকার অধিকাংশ হিন্দু কোরানের এ কথাগুলি পড়ে নাই, জানেও না।
যাহোক দেশপ্রেমিক কালীদাস বড়াল মুক্তিযুদ্ধে অনেক আত্মীয় ও তাঁর পিতাকে হারিয়েছিল। তবু ভেঙে পড়েনি, আশা করেছিল তার পিতার রক্তে দেশ স্বাধীন হলে অধিকার নিয়ে একদিন বেঁচে থাকতে পারবে। গোপালগন্জের ৮০% হিন্দু আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েও নির্যাতিত বিতাড়িত হতে লাগল কথিত স্বাধীন সোনার বাংলাদেশে।
শেখ হাসিনা ও শেখ হেলালের হিন্দু নির্যাতন তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। তাঁর পিতার মতো তিনি হিন্দু অধিকারের দাবীতে জ্বলে উঠলেন। সিদ্ধান্ত নিল গোপালগঞ্জে ৮০% হিন্দু , প্রয়োজনে গোপালগঞ্জ ও আরো কয়েকটি জেলা নিয়ে একদিন স্বায়ত্ব শাসন ও স্বাধীন হিন্দু অঞ্চলের স্বপ্ন দেখতেন। হিন্দুদের প্রতি দায়িত্ব ও নির্যাতন বঞ্চনা মেনে নিতে না পেরে তিনি আওয়ামী লীগের শেখ হেলালের বিরুদ্ধে প্রাথী হিসাবে দাঁড়িয়ে যান। হিন্দুরা আশা করেছিল এবার ৮০% ভোট তিনি পেলে হিন্দু নির্যাতন চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ভোট কেটে কালীদাস বড়াল জয়ী হওয়ার ৯৯ শতাংশ জয়লাভ নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু ঐ যে কাফের ছিল কালীদাস বড়াল, তা মুমিন শেখ হাসিনা ও শেখ হেলালের সহ্য হল না। শেখ হাসিনার পরোক্ষ ইশারায় এক রাতে নির্বাচনী জনসভা করে বাড়ী ফেরার পথে কালীদাস বড়ালকে গুলি করে মেরে দেয়, সাথে থাকা আরো দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। রাতের অন্ধকারে মৃত্যু নিশ্চিত করতে লাশটি বিলের জলাশয়ে পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দুইজন লোক জলে চুবিয়ে ধরে অনেকক্ষণ। তখনও কালীদাস বড়ালের দেহে প্রান ছিল, যন্ত্রনায় ছটফট করছিল। কিন্তু কাফেরের প্রতি করুণা করতে নেই।
এক মোগল দস্যু ইতিহাসে লেখা আছে কাফেরদের প্রতি দয়াপরবেশ হয়ে একটু কম সংখ্যক কাফের হত্যা করছিল, আল্লাহর অশেষ খেতমত না করে গুনাহ করছিল, এ কারনে ঐ বাদশাকে আরেক বাদশা কাফের কেন কম সংখ্যক হত্যা করছে এ অজুহাতে রাজ্য আক্রমন করে সিংহাসন চ্যুত করে কাতারে কাতারে কাফের হত্যা করে রাজ্যটি রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছিল, কাফেরের রক্তে সে রাজ্যের মাটি রক্তকাদাতে পরিনত হয়েছিল, ইতিহাসের পাতা খুলে দেখুন সে কথা নিজে পড়েছিলাম এখনও মনে আছে।
কালীদাস বড়ালের মৃত্যু নিশ্চিত করে গুন্ডারা পালিয়ে যায়। সে রাতে শেখ হেলাল খুশীতে মদের আসরে হিন্দু নারী নিয়ে ফুর্তি করতে জলসার আয়োজন করেছিল জয়লাভ নিশ্চিত জেনে। এরপর কালাদাস বড়ালের সমর্থক হিন্দুদের উপর চরম নির্যাতন নেমে এসেছিল, প্রান ও নারীর সম্ভ্রমের ভয়ে অধিকাংশ হিন্দু এলাকা ছেড়ে ভারতে চলে যায়। গোপালগঞ্জে হিন্দু সংখ্যা ৩০% এর নীচে নেমে আসে।
শেখ হাসিনা এসব জেনেও এ নির্মম হত্যার বিচার করেনি। একে তো নিজের ভাই অন্যদিকে ইসলামী শিক্ষা মুসলিম হয়ে আরেকজন মুসলিমের দোষ গোপন করতে হবে, তবেই কেয়ামতের দিন আল্লাহ তোমার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে তুমি যতই খুন ধর্ষন হত্যা করে থাক। কাফের হত্যার জন্য আল্লাহ অশেষ ধন্যবাদ দেবে, তোমার জান্নাত নিশ্চিত।
আরেকভাবে জান্নাত নিশ্চিতের কথা লেখা আছে কোন হিন্দু নারীকে লাভজিহাদ করে মুসলিম বানাতে পারলে জান্নাত নিশ্চিত এভাবে বাংলার প্রথম লাভজিহাদী নজরুলও প্রমীলা দেবীকে নিকাহ করে মুসলিম বানিয়ে বেহেশতে অনন্ত হুর ভোগের জন্য ইসলাম পালন করে চলে গিয়েছিল, এই কবিকে নিয়ে হিন্দুরা কত গদগদ অসাম্প্রদায়িক কবি বলে বাদ্যযন্ত্র বাজায় প্রতিবছর গান বাজনা নৃত্যে করে। নাস্তিক বলে পরিচিত সিলেটের লোকসংগীত শিল্পী শাহ আব্দুল করিমও প্রতিবেশী সরলা দেবীকে লাভজিহাদ করে নিকাহ করেছিল, বেহেশতে যেতে। বাস্তবে এই মুসলিমরা নাস্তিক ও অসাম্প্রদায়িক ভাবগুলি ধরেছিল হিন্দুদের ব্রেইনওয়াশ করতে।
এভাবে আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতা কালীদাস বডালের জীবন ছিনিয়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগের শেখ হেলাল ও শেখ হাসিনাই। আজকে ভারত সরকারের কাছে আসামীরা হেফাজতে আছে। হিন্দুত্ববাদী সরকার হিন্দু হত্যার জন্য ফাঁসি দিতে পারতো। ইহুদিদের হত্যার জন্য গাজার প্রধানমন্ত্রীকে মেরে দিয়েছিল। পাকিস্তান লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে খুন করেছিল হিন্দু কাফের বলে তবু ভারত পাকিস্তানকে আক্রমন করেনি প্রতিশোধ নিতে।
এই হল মুক্তিযুদ্ধের সরকার শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিব যারা দুজনেই হিন্দু নির্যাতন করেছিল, যারা ছিল হিন্দুদের জন্য হিটলার। স্বাধীন সোনার বাংলাদেশে ৭২ এ সারা দেশে একযোগে দুর্গাপুজোতে জাতির পিতা হিসাবে শেখ মুজিবই প্রথম মুর্তি ভাঙার মধ্য দিয়ে প্রথম হিন্দু নির্যাতন করা শুরু করেছিল তা আজও চলছে।
সুত্র : ফেসবুক আইডি থেকে
https://slotbet.online/