পড়ন্ত বিকেল, মা’র কাছে এলাম রিক্সাওয়ালা সেজে….
বললাম,, উঠো মা, তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই শহরের অলি গলি।
মা বলে, ভাড়া কত?
আমি বললাম, “এক টুকরো হাসি”। —
সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেলো পুরো শহরের রং।
বললাম, “মা, আজ সুখের ভাগ্যলিপি আঁকবো
তোমার হাতের রেখায়!”
মা হেসে বললেন, “এই সন্তুষ্টিরও তো দাম আছে?”
তর্জনীতে বাঁধলাম মায়ের আঁচলের আলো,
“এক ঝিলিকে পৃথিবীর সব অসহায়ত্ব ডুবে গেলো ।”
রাশিচক্র ঘুরে এলো— শ্যাওড়া গাছের ছায়ায়,
দুঃখ থেকে পৃথিবী সরিয়ে যেতে লাগলো ধীরে ধীরে।
ওহে, স্বর্গের হীরা,মা ! তুমিই তো একটা মহাকাশের গল্প—
আমি শুধু শুধু কেন — নিভে যাওয়া তারার গল্প খুঁজি?
বললাম, “মা, আজ সমস্ত আকাশ এনে দেবো তোমার হাতের তালুতে!”
মা বললেন, “জানোস তো ওই ইচ্ছার পরিমাপ কত?”
স্বপ্নের ডানায় লাগালাম আলপনা, “এক মুহূর্তের চুপকথা নিয়ে।”
মেঘেরা নামলো রান্নাঘরে, মায়ের হাতের সুবাস নিয়ে,
উড়ে গেলো—
হৃদয়ে বন্দি চূড়ইটা গাইলো গান ” নীল বৃষ্টির সুরে “।
————
সুখের ভাগ্যলিপি।
https://slotbet.online/