হাতে শুকনো রুটি, প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার যদি মামলায় জটিলতা তৈরি না করত, তা হলে তাঁদের নিয়োগের জন্য এত কাঠখড় পোড়াতে হত না।
ফের এক বার চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ গিরে মঙ্গলবার ধুন্ধুমার বাধল হাজরা মোড় চত্বরে। নিয়োগের দাবিতে ৭০০ দিনের বেশি সময় ধরে আন্দোলনরত কর্মশিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ভবানীপুর থানার পুলিশ বাহিনী যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনের তিন নম্বর গেটের বাইরে থেকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় আন্দোলনকারীদের। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, তাঁদের নিয়োগ আ়টকে রয়েছে সরকারি উদাসীনতায়। ইতিমধ্যেই তাঁরা নিয়োগের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, আদালতে গিয়েও রাজ্য সরকার নিয়োগ আটকে রাখতে কলকাঠি নাড়ছে।
কর্মশিক্ষক চাকরিপ্রার্থীরা শহিদ মিনারের কাছে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার মেট্রো ধরে তাঁরা যতীন দাস পার্ক যান। গেট থেকে বার হতেই তাঁদের আটক করে পুলিশ। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁরা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের দিকে যাচ্ছিলেন। দিন কয়েক আগে এ ভাবেই উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল নিয়ে মুখ্যমন্তীর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁদের আটক করেছিল পুলিশ।
মঙ্গলবার দেখা যায়, হাতে শুকনো রুটি, প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার যদি মামলায় জটিলতা তৈরি না করত, তা হলে তাঁদের নিয়োগের জন্য এত কাঠখড় পোড়াতে হত না। প্রশাসনের অনেকের মতে, ইদানীং একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, কিছু হলেই আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে ধেয়ে যেতে থাকেন। হাজরা মোড় থেকে কালীঘাট দমকল কেন্দ্র হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পর্যন্ত যে রাস্তা, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। প্রশাসনও সদাতৎপর থাকে এই এলাকায়।
সূত্র আনন্দবাজার অনলাইন
https://slotbet.online/