*কত বড় মুর্খ আমরা*??
============
মৃত্যুর পর বুকে গীতা দেওয়ার থেকে উত্তম, জীবিত অবস্থায় হৃদয়ে গীতাকে ধারণ করা।
মৃত্যুর পর মরদেহে তিলক ধারণের থেকে উত্তম, জীবিত অবস্থায় দ্বাদশ অঙ্গে তিলক দেওয়া। এতে দেহটি শুদ্ধ থাকে এবং হৃদয়টি ভগবানের মন্দিরে পরিণত হয়।
মৃত্যু যাত্রায় হরিনাম করার চাইতে, হরিনাম করতে করতে দেহ ত্যাগ করলে ভগবত ধামে গতি হয়। তবে সেই অভ্যাস তখনই হবে, যখন আমরা নিরন্তর হরিনামের প্র্যাক্টিস করবো।
মৃত্যুর পর মৃত ব্যাক্তি সামান্য একটু মহাপ্রসাদের জন্য লালায়িত থাকে। কারণ ভগবানের মহাপ্রসাদ তাকে নরক থেকে উদ্ধার করে। জীবিত অবস্থায় এর মর্ম আমরা বুঝিনা।
জীবিত অবস্থায় গীতা পাঠ করে না। অথচ শ্রাদ্ধের সময় মৃত ব্যাক্তির উদ্দেশ্যে গীতা পাঠ করা হয়। যাতে মৃত ব্যাক্তি নরক থেকে উদ্ধার পায়।
কোন কোন প্রেতাত্মার কান্নার শব্দও শোনা যায়। অথচ জীবিত অবস্থায় ব্যাভিচারীর জীবন ধারণ করেছো। এখন কৃষ্ণ ছাড়া কোন গতি নাই।
এর পরেও কি আমাদের হুশ হবেনা? তাহলে আর কবে হবে? যখন মৃত্যুর পর এরকম একটি প্রেত দেহ লাভ করে যুগের পর যুগ যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াবো আর তখন সাহায্যের কেউ থাকবে না, তখন?
কৃষ্ণ নাম ভজ জীব আর সব মিছে।
পলাইতে পথ নাই যম আছে পিছে।।
তরিতে ভবের তরী
ঐ নাম কর কাণ্ডরী
একবার হরি নামে
যত পাপ হরে পাপীর
সাধ্য কি তত পাপ করে?
হরি মৃত্যুভয় সদা নাম
কর তাঁর, দেখিবে তুমি
আনন্দে চলে যাবে ঐ ভবপারে
সকল দুঃখ জ্বরা ব্যাধি ফেলিয়া পিছনে,
তাই হরি বল হরি বল ভাইরে, হরি নাম তরণী বিনা অন্য গতি নাই রে হরি বল ভাই রে।
জয় রাধা মাধব, জয় শ্রী কৃষ্ণ জয় শ্রী কৃষ্ণ
https://slotbet.online/