ওপার বাংলার মৌলভীবাজারে জন্ম নেয়া আমাদের পরিবারের কেউ আর বেঁচে নেই।
আমরা দুই বোন যতবার বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে গিয়েছি,চেষ্টা করতাম হাত দিয়ে কাঁটাতারের ওপার হতে একমুঠো মাটি আনার।
সেই মাটির গন্ধ শুকে পিতৃপুরুষের দেশের সুখানুভব পাওয়ার চেষ্টা।
শুধু বাংলাদেশে যাওয়ার ইচ্ছে নিয়েই পাসপোর্ট করেছি।আমি ভারতের ত্রিপুরা থেকে সংঘমিত্রা ভট্টাচার্য বাংলাদেশের মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনিঘাট ইউনিয়নের সাবিয়া গ্রামে আমাদের বাড়ি ছিল।শুনেছি আমাদের বাড়িটি ভট্টাচার্য বাড়ি নামে পরিচিত ছিল আমার দাদু পন্ডিত মানুষ ছিলেন।
দেশের ভাগের সময় আমার দাদু যোগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মৌলভীবাজার থেকে ভারতে চলে আসেন।আমার এক জ্যাঠার নাম ছিল হরিপদ ভট্টাচার্য তিনি তুখোড় মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং এমবিবিএস ভর্তি হন কিন্তু দেশভাগের সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় এমবিবিএস পড়াশোনা ছেড়ে ভারতে চলে আসেন।
আমরা এখনো নিজেদের সিলেটি বাঙাল হিসেবে পরিচয় হিতে গর্ববোধ করি।মজার বিষয় হলো যখন কোন পারিবারিক আড্ডায় মিলিত হই তখন কারো আচরণ বা কথায় যদি রেগে যাই তখন অনেকেই মজা করে বলতো
“মৌলভীবাজাইরা পুরি তো এর লাগি রাগ এট্টু বেশি”
আমি কোনদিন বাংলাদেশ বা মৌলভীবাজার যাইনি কিন্তু ঐ দেশটা আমায় বড্ড টানে।
মৌলভীবাজার জেলার বন্ধুরা আপনাদের নিকট সবিনয় অনুরোধ, আমার পিতৃপুরুষের জন্মভূমির খোঁজ দেয়ার।সেই জায়গাটা আদৌ কি আছে?থাকলে দয়া করে সন্ধান বা খোঁজ দেয়ার অনুরোধ রইলো।
পুরনো এক পারিবারিক এ্যালব্যামে জ্যাঠা আর জ্যাঠির কোলে আমরা দুইবোন।
আমি সংঘমিত্রা ভট্টাচার্য
ত্রিপুরা,ভারত।
https://slotbet.online/