ঈসাহারা নিউজ ডেস্ক : দিনের পর দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তবে কখনই এটি স্বীকার করে না দেশটি। বরং সন্ত্রাসবাদের ধুয়া তুলে প্রায়ই নিরপরাধ ফিলিস্তিনি হত্যায় মেতে ওঠে তেল আবিব। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে যখন যে দেশ, যে ব্যক্তি গলার স্বর উঁচু করেছেন, তাকেই শত্রু জ্ঞান করেছে ইসরায়েল। তেল আবিব সফররত স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমনটিই ঘটেছে এবার।
গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা নিয়ে মন্তব্য করায় স্পেনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে ইসরায়েল। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে আসেন। সফরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বৈঠক শেষে গাজার হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। আর তাতেই নাখোশ হয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
পেদ্রো সানচেজ বলেন, ইসরায়েলি হামলায় যে পরিমাণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, সেটি মানা যায় না। হামাসের হামলার জবাবে কয়েক হাজার শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হতে পারে না। এটি অবশ্যই নিন্দনীয়। ইসরায়েলকে এই হত্যাকাণ্ড থামাতে হবে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন ইসরায়েলে গিয়েছিলেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজাণ্ডার ডি ক্রো। স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তিনিও।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনও। তিনি দাবি করেছেন, স্পেন ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়াচ্ছেন এবং ‘সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছেন।’ স্পেন ও বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে তীব্র নিন্দা জানানোর হুমকিও দেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওইদিন ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় বর্বর ও নির্বিচার বিমান হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার প্রায় ৭০ শতাংশই হলো নারী ও শিশু।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও বলেছিলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অনেক বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তবে তার বক্তব্যে ইসরায়েলকে নিন্দা জানিয়ে কোনো ধরনের বিবৃতি ছিল না।
সুত্র — কালবেলা অনলাইন