🌹🌹 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏 🌹🌹
প্রশ্ন । একজন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের করণীয় কি?
উত্তর : শ্রীব্যাসপুত্র শুকদেব গোস্বামী মহারাজ পরীক্ষিৎকে নির্দেশ দিলেন
এবমেতন্নিগদিতং পৃষ্টবান্ যদ্ ভবান্ মম ।
নৃণাং যন্ ম্রিয়মাণানাং মনুষ্যেষু মনীষিণাম্ ॥
“হে মহারাজ, আপনি আমাকে ম্রিয়মাণ মানুষদের কর্তব্য সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তার উত্তরে যোগ মতে কয়েকটি বিষয় বলেছি। কখনও দৈবযোগে জীবদের মধ্যে কেউ কেউ মানুষ জন্ম লাভ করেছে। এবং মানুষদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান, আবার তাদের মধ্যে যারা আপনার মতো মৃত্যুপথযাত্রী, তাদের হরিকথামৃত শ্রবণ-কীর্তন-স্মরণ করা একান্ত বিহিত।” (শ্রীমদ্ভাগবত ২/৩/১)
মৃত্যুপথযাত্রী বলতে কেবল জরাব্যাধিগ্রস্ত বৃদ্ধকেই মাত্র বোঝায় না। প্রত্যেকেই আমরা মৃত্যুপথযাত্রী। একটি শিশুও মৃত্যুপথযাত্রী। কারণ যে কোনও পরিস্থিতিতে, যে কোনও অবস্থায়, যে কোনও বয়সে আমাদের এই দুর্লভ মনুষ্যজীবন নষ্ট হয়ে যাবে। এই জড় জগতে নিষ্ঠুর সত্য কথাটি হল এই যে, যে কোনও মুহূর্তে আমাদের মৃত্যু হবে।
সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিনিয়ত পরমেশ্বর ভগবানের সর্বমঙ্গলকর শ্রীনাম কীর্তন, ভক্ত ও ভগবানের অপ্রাকৃত লীলাকথা শ্রবণ, ভগবানের অভয়পাদপদ্মের স্মরণ করা, ভগবানের সেবা আরাধনা করা আবশ্যক। কলিহত জীবের উদ্ধারের জন্য কলিযুগ-পাবনাবতারী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নির্দেশ দিয়েছেন কীর্তনীয়ঃ সদা হরিঃ ।— সদা সর্বদা হরিনাম –
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
এই মহামন্ত্র কীর্তন করতে হবে।
পরম ভাগবত পরীক্ষিৎ মহারাজ জানতে পেরেছিলেন, মাত্র সাত দিন পরে তাঁকে দেহত্যাগ করতে হবে। তিনি ছিলেন সারা পৃথিবীর রাজা। পুত্র জন্মেজয়কে সাম্রাজ্যভার অর্পণ করে রাজ-ঐশ্বর্য সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে তিনি মহর্ষি শ্রীশুকদেবের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন মৃত্যুর জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুতি নিতে। তিনি তাঁর কাছে অবিরাম সাতদিন ধরে অমল পুরাণ শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণ করেছিলেন এবং যথা সময়ে তক্ষক দংশনে দেহত্যাগ করে পরম তুষ্ট চিত্তে ভগবদ্ধামে মহাপ্রয়াণ করে নিত্যানন্দময় জীবনে প্রবেশ করেন।
কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ জীবদের মৃত্যুর কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই। আমরা পরীক্ষিৎ মহারাজের মতো নিশ্চিত হতে পারি না কখন আমাদের এই দেহ ছাড়তে হবে। তাই আমরা মূর্খের বাদ দিয়ে ছালা বুদ্ধিতে এই জগৎ সর্বান্তঃকরণে ভোগ করার করি। মৃত্যুরূপী ঘাতকের দড়িতে বাঁধা ছাগল মুহূর্তের মধ্যে বলি ত অ ছাগলটি বহু ছাগলের মৃত্যুর বীভৎস রূপ দেগেও তার সামনে কচি কচি সবুজ ঘাস খাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে থাকে এবং কসাইখানার মধ্যেই ছাগীর সঙ্গ করার চেষ্টা করে।
সেই রকম, আসন্ন মৃত্যুর জন্য মানুষ যদি প্রস্তুত না হয়, ছাগ্লা বুদ্ধিতে কেবল এটা খাব, ওটা দেখব, কার হাতে মৃত্যুগ্রস্ত মুখে জল খাব, পুত্রপৌত্রকে দেখব ইত্যাদি চিন্তা করতে থাকে, তবে তার সদগতি হয় না। পরীক্ষিৎ মহারাজের মতো সাধুসঙ্গ, শ্রবণ, কীর্তন, স্মরণ – এই সকল ভগবদ্ভক্তির কোনও কার্যে তখন রুচি থাকা উচিত, যাতে পরবর্তী জন্মে সদ্গতি হয়।
.
হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏💕
জয় শ্রীকৃষ্ণ🙏🙏🙏💕
https://slotbet.online/