আমার দৃষ্টিতে স্বপন বিশ্বাসের প্রিয়তমা প্রেমা
“প্রিয়তমা প্রেমা” কাব্যগ্রন্থটি শিক্ষক কবি স্বপন বিশ্বাসের এক অনবদ্য সৃষ্টি ।এটা নিছক কবির মানস সরোবরে বেড়ে ওঠা কোন কল্পলতার অবাধ বিচরণ নয়। আবার কোন কবির গদগাথা কৃত্রিমতা সূত্রে গাঁথা নৈমিত্তিক ছন্দগাথনিও এটা নয় ।আর ঐ নয় টা ই হয়তোবা সকল আছে গুলোর পিছে বসে সাক্ষী দিয়েছেন হয় হয়ে।এটা যেন পার্থিব প্রকৃতির প্রাণ শালিখার চৈতালি ঢেলা কেটে কেটে আনমনে গাওয়া আপন মনে কোন স্বপ্নলোকের প্রেয়সীর প্রেম বিচ্ছেদের ছোট ছোট অনুভূতি কনার নাম। কাব্য গ্রন্থেটি “ব্যর্থ প্রেম” থেকে “দস্যুতার কবলে” সাজানো ৪২ টি কবিতার কোন স্বপ্ন জগৎ বিছানো কথাগাথনের গল্পমালার নাম।,এটা শিক্ষক কবি স্বপন বিশ্বাসের কোন স্বপ্নচিত্তের কল্প কথার প্রেয়সিনী মাত্র,যিনি কবিচিত্তকে এমন ভাবেই বিমোহিত করে গেঁথেছেন যেন কোন উড়ন্ত যৌবনে বিরহ বিচ্ছেদে আবৃত রেখেছেন সর্বদা।
কবিতার প্রতিটি পঙক্তির ভাঁজে ভাঁজে আছে না পাওয়ার আক্ষেপ আছে প্রকৃতির শীতল প্রেমের পরশ।
এখানে যেমন আছে
“আকাশে মেঘ জমেছে ভাবতে
দু চোখ ভরে আসে বন্যা”
আবার আছে–
“অভিমানে লুকিয়ে রাখা মুখ
চোখের জলে মুছে দিয়েছি দূখ”
কিছু কিছু কবিতায় স্পষ্ট কবির মধ্যে যে বেদনার ঢেলা বেধে আছে সেখানে তিনি বার বার কিল দিতে চেয়েছেন হয়তো,,সে ব্যার্থ কিলের ফলাফলে মনের অন্তপ্রদেশের ঢেলা পরিপূর্ণ চূর্ণ না হলেও চেষ্টার প্রয়াসের গলদ ঢেকুর গেলাটাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে সব পাঠকের ।
কবিতার ভাবগাম্ভীর্যের যে প্রেয়সী প্রিয়তমা লুকিয়ে লুকিয়ে উকি মারে তা সকল পাঠকের মানসপটে একজন প্রেমময়ী প্রেমা রুপেই ফুটে ওঠে, তাই হয়তো কাব্যগ্রন্থটির নাম রাখা হয়েছে “প্রিয়তমা প্রেমা “নামে।
কাব্যের প্রতিটা কবিতা আবহে যেন একটা না পাওয়ার আক্ষেপ আছে,, আছে প্রকৃতির পরান জুড়ানো প্রেয়সী প্রেমের মধুরতা। কবির ব্যাক্তি জীবনের সূক্ষ সুশক্ষতা কখনও কবিতার ভাবধারার গতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি বরং বিশেষ বিচ্ছেদের গতিময়তা দান করেছেন যা এ “প্রিয়তমা প্রেমা”র প্রেমের পূর্ণ পরিনতি দান করেছে। কেননা প্রেমের সার্থকতা মিলনের চেয়ে বিরহেই বেশি পুষ্টতা পায়। বিরহের কষ্টি পাথরে প্রেমের পূর্ণতা এক শাশ্বত সত্যের অনন্য রূপায়ণ হলো “প্রিয়তমা প্রেমা” কাব্য গ্রন্থটি।
অরিন্দম বর
শিক্ষক ও সাংবাদিক
শালিখা মাগুরা
https://slotbet.online/