আপনার স্ত্রীর মেজাজ কি সারাক্ষণই খিটখিটে থাকে??
ক্ষনে ক্ষনে মত বদলায়, কারনে অকারনে রেগে যায়?? কোনভাবেই কি তার মন যুগিয়ে চলতে পারছেন না??
এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ব্যাপার মনে রাখতে হবে।
১)যদি দেখেন মেজাজের সাথে সাথে তার মাসিক অনিয়মিত এবং মাথার চুল পড়ছে, তাহলে আপনি প্রথম ক্লুটা পেয়ে গেছেন।
২)যদি দেখেন চুল শুধু পড়ছেই না, বরঞ্চ নতুন চুলও গজাচ্ছে না, তাহলে আরেকটা ক্লু যোগ হল।
৩)তার ঘন ঘন খেতে ইচ্ছা করে কিনা এবং খাবারে দেরি হলে হাত পা কাপে কিনা?? এটাও ঠিক হয়ে থাকলে আরেকটা ক্লু যোগ হল।
৪)মাথার তাপমাত্রা মাঝে মাঝে হাত দিয়েই বোঝার চেষ্টা করবেন, এরপর পায়ের তালুর তাপমাত্রা বোঝার চেষ্টা করবেন। মাথা গরম ও পা ঠান্ডা কিনা, লক্ষ্য করবেন।
এই সবগুলো ক্লু যদি ঠিক থাকে, সম্ভাবনা আছে আপনার স্ত্রীর মেজাজের ভারসাম্যহীনতা মূলত হরমোনাল ইমব্যালেন্স থেকে হচ্ছে।
আমাদের চেম্বারে প্রায়ই নারীরা এসে অভিযোগ করেন তারা অকারনে স্বামী-সন্তানের সাথে দুর্ব্যবহার করছেন কিন্তু তা থামাতে পারছেন না চেষ্টা করেও। পরবর্তীতে, নিজের ইগো ধরে রাখতে ব্যাপারটাকে তারা অস্বীকার করে বসেন। এতে কাউকে স্যরি বলা লাগে না বটে কিন্তু ভেতরে ভেতরে অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন ঠিকই।
সাধারনত ওপরের সমস্যাগুলো দেহে প্রজেস্টেরনের অভাবজনিত কারনে হয়ে থাকে।
প্রজেস্টেরন উৎপাদন নানা কারনে কমে যেতে পারে, সবচে বড় কারন ম্যাগনেসিয়াম ও বি ভিটামিন-৬ ডেফিসিয়েন্সি। ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে প্রজেস্টেরনের ঘাটতি মাঝে মাঝে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতও আচরন করে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, প্রজেস্টেরন কম থাকলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের ওপর আর প্রভাব পড়তে পারে। আবার যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে, তারা নিজেকে চাঙ্গা রাখতে দফায় দফায় কফি খান।
এই দুটো ব্যাপারই পরবর্তীতে আপনার প্রজেস্টেরন লেভেল আরো কমিয়ে দিতে পারে।
হরমোনাল ইমব্যালেন্সকে বুঝুন এবং স্ত্রীর মাথা ঠান্ডা রাখতে দক্ষ হয়ে উঠুন।
একজন স্মার্ট স্বামী এই খিটখিটে মেজাজকে শুধু কথা দিয়ে না সামলে স্ত্রীকে হেলদি লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত করতে উৎসাহ দেন।
প্রজেস্টেরনের রিচ সোর্স হচ্ছে সমস্ত বীজ জাতীয় খাবার, খোলসওয়ালা প্রানীর গোশত, সবুজ শাক সবজি এবং গরু ও খাসীর গোশত।
এছাড়া, যাদের ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়ামের অভাব আছে, তারা এই ভিটামিন-মিনারেলগুলো নিউট্রিশিনিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী ইনটেইক করলে মেজাজের খিটখিটে ভাব কমবে ইনশা আল্লাহ।
https://slotbet.online/