যারা উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজার চালানোর দিনরাত্রি বিরোধিতা করে তারাই আজ ক্ষমতার জোরে ঢাকার খিলখেতে দুর্গা মন্দির বিধ্বস্ত করায় উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছে- সরকারি জমিতে কেন মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইত্যাদি।
তাদের কথাবার্তায় মনে হয়, বাংলাদেশে বুঝি এই প্রথম সরকারি জমিতে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে এবং দেশের কারো বুঝি সরকারি জমিতে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নেই! অথচ স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারলাম,
যে স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরটি ক্ষমতার বুলডোজার দিয়ে বিধ্বস্ত করা হয়েছে সেই স্থানেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের শতশত দোকান রয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলের অফিস রয়েছে এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অথচ সমস্যা শুধু এই মন্দিরটি নিয়ে। বিচিত্র সেলুকাস!
দেশের ভূমি মন্ত্রণালয়কে বলবো দুটি তথ্য দ্রুত প্রকাশ করতে। প্রথমত দেশের সরকারি জমিতে কি পরিমাণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের মোট সংখ্যা এবং কোন কোন ধর্মাবলম্বীদের কয়টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে এর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে এবং দ্বিতীয়ত
হিন্দু জমিদার ও ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি, দেবোত্তর সম্পত্তি, অর্পিত সম্পত্তিসহ কি পরিণামে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি সরকারের দখলে আছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা। আশাকরি সরকারের উত্তর পাবো।
ড. শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী
সুত্র : ফেসবুক থেকে কপি
https://slotbet.online/