Email : esaharanews@gmail.com
  • অন্যান্য
নোটিফিকেশন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আওয়ামীলীগ সরকারের পতনই একমাত্র চাওয়া : মির্জা ফখরুল

ESARA NEWS
আগস্ট ১০, ২০২৩ ৯:১০ অপরাহ্ণ । ৭৩ জন
Link Copied!

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনই বিএনপির একমাত্র চাওয়া বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লক্ষ্মীপুর থেকে আসা আহত নেতা-কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপিতে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দীর্ঘ এক যুগের উপরে আমরা লড়াই-সংগ্রাম করছি এই নিপীড়ন-নির্যাতনকারী সরকারের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, আমরা এই ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে মুক্তি চাই, দেশ মুক্তি চায়। এ জন্য ইতোমধ্যে অনেকে প্রাণ দিয়েছেন, সাধারণ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, অনেক মানুষ গুম হয়ে গেছেন। সর্বশেষ গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ সরাসরি গুলি করে। এতে সজীব হোসেন প্রাণ হারিয়েছেন; অনেকের চোখ বন্ধ (দৃষ্টিশক্তি হারানো) হয়ে গেছে। এখন একটাই চাওয়া, একটাই পথ-এদেরকে সরাতে হবে, এদের পতন ঘটাতে হবে।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ ‘নিরাপদ নয়’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নির্যাতনে বিএনপির বহু নেতাকর্মী গুম-খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন। এই নেতাকর্মীদের ত্যাগ বৃথা যাবে না। দল সব সময় এসব পরিবারের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আন্দোলনে দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। দেশের মানুষ জীবন দিয়ে রাস্তায় নেমেছে। রাস্তায় নেমে এই সরকারকে সরানোর জন্য সংগ্রাম শুরু করছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকার বিদায় হবে, দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে পুলিশের ছররা গুলিতে আহত লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের কর্মী মোস্তফা কামাল তার দৃষ্টিশক্তি হারান। অনুষ্ঠানে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আগে শুনতাম পুলিশ পায়ে গুলি করে। এখন দেখি পুলিশ চোখে-মুখে-বুকে গুলি করে’। দৃষ্টিশক্তি হারানো লক্ষ্মীপুর কৃষক দলের নেতা বোরহানউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে কিছু লোক ছিল, তারাও গুলি করে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমার অপরাধ কী ছিল?’

অনুষ্ঠানে সজীবের পরিবারকে দলের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। আর দৃষ্টিশক্তি হারানো ছয় নেতা-কর্মীর প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন প্রমুখ।

‘যুবদলের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতাদের সভা’: পরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাকালীন ও সাবেক নেতাদের নিয়ে একটি সভা হয়। যু্বদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে সভায় যুবদলের সাবেক নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানও বক্তব্য রাখেন। তারেক রহমান এই অনুষ্ঠানেও সংযুক্ত ছিলেন।
সূত্র কালবেলা