মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক খুলনা অঞলের উপপরিচালক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ঘুষ দূর্নীতির খবর প্রকাশের পর অবশেষে তাঁকে কোন দায়িত্ব না দিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে ওএসডি করে বদলি করা হয়েছে। ১৩ নবেম্বর শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে এ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়। তার স্থানে গোপালগঞ্জের জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব কামরুজ্জামানকে উপ পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তার ক্ষমতার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তিনি সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় ঢাকা অবস্থান করেন,ফলে অফিসে গিয়ে তার সাথে দুর দুরান্ত থেকে শিক্ষক কর্মচারীরা দেখা পারতেন না। এছাড়া ২০২২ সালে এমপিও পাওয়া নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাচাই বাছাই সময় পাসওয়ার্ড প্রদান আটকে শিক্ষক প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পাসওয়ার্ড প্রদান করেন। অবশ্য এর মুল কারিগর অফিস সহকারী কামরুজ্জামান। এ হিসাবে তিনি যাচাই বাছাই করতে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর পর এমপিও আবেদন করার পর নানা অজুহাতে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ খাতে তার আয় আরও ১০ কোটির কম নয়।
তবে তার কথার বাইরে গেলেই ঠুনকো কারণ দেখিয়ে আবেদন রিজেক্ট করে দেন। কোন কোন প্রতিষ্ঠান ৪/৫ বার আবেদন করার পরও তাদের বেতন বা বকেয়া টাকা পায়নি । এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক ও স্টাফদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে মাগুরা জেলার একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়া বেতনের জন্য ৪/৫ বার আবেদন দেওয়া হয়েছে। কিছু আবেদন মঞ্জুর হলেও বাকিদের আবেদন বারবার রিজেক্ট করে দেন। অথচ সকলের আবেদনই একই প্রক্রিয়ায় করা। ভুক্তভোগীরা তার আশু বদলি ও দূর্নীতির তদন্ত চেয়ে সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
স্বপন বিশ্বাস